জেলা সমবায় অফিসারের নিকট ভুক্তভোগী সদস্যদের অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর বেগমপুর পুরাতন বাজার পাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ইব্রাহীম মণ্ডল সাধারণ সম্পাদক সহদর ভাই মিরাজুল ইসলাম সমিতির নামে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন পারিবারিক সমিতি। ফলে সাধারণ সদস্যদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। অপরদিকে সার্টিফিকেট মামলা থাকলেও মিথ্যা তথ্য দিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সনদ নেয়ার পাঁয়তারা শুরু করেছেন কথিত সমিতির সভাপতি-সম্পাদক। বিষয়টি তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছে সমিতির অন্য সদস্যরা।

অভিযোগে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের বেগমপুর হাটখোলাপাড়ায় বেগমপুর পুরাতন বাজার পাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি. নামের একটি ভুইফোঁড় সমিতি গড়ে তুলেছেন ইসমাইল মণ্ডলের ছেলে  ইব্রাহীম ম-ল। যেখানে তিনি নিজে সভাপতি অপর ভাই মিরাজুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক, ছোট ভাই ওসমান আলী ও বড় ছেলে আ.কুদ্দুসকে নির্বাহী সদস্য এবং ভাগ্নে আশাবুলকে সহসভাপতি করে একটি পারিবারিক সমিতি গড়ে তুলেছেন। পরিবারের মধ্যে সকল পদপদবি দিয়ে সমিতিতে একক নেতৃত্ব এবং কর্তৃত্ব করায় সমিতির অন্যান্য সাধারণ সদস্যদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে এ সমিতির সাবেক সভাপতি মোতালেব মেম্বারের বিরুদ্ধে বেগমপুর বিলের রাজস্ব বকেয়া বাবদ সার্টিফিকেট মামলা বিচারাধীন থাকলেও তা গোপন করে বেগমপুর মৎসজীবী সমবায় সমিতির নাম পরিবর্তন করে বেগমপুর পুরাতন বাজারপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি. নামের একটি ভুইফোঁড় সমিতি গড়ে তুলেছেন। পূর্বের সমিতির নাম গোপন করে বর্তমান সমিতির নামে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সনদপত্র নেয়ার পাঁয়তারা চালাছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে সমিতির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও অন্যান্য সদস্যদের টু-শব্দটি করার উপায় নেই। কারণ বেশি কিছু জানার চেষ্টা করলে সমিতি থেকে বের করে দেবার ভয়ভীতি দেখানো হয়ে থাকে। এছাড়াও সভাপতির বিরুদ্ধে সমিতির ফান্ড তছরূপের অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিনের। নীতিমালাতে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে সমিতির কোন সদস্যর নামে সার্টিফিকেট মামলা থাকলে সেই সমিতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কোন বিল বাওড় টেন্ডার নেয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। তথ্য গোপন রেখে সনদপত্র নেয়ার পাশাপাশি টেন্ডারে অংশগ্রহণ পাঁয়তারা চালাচ্ছেন সমিতির সভাপতি সম্পাদক। অভিযোগকারীরা আরও জানান, দীর্ঘদিন থেকে তারা দুই ভাই অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা আকড়ে ধরে রেখে নির্বাচন দিতে গড়িমসি করে। বর্তমানে সমিতিতে লোকসান এবং সমিতির হ-য-ব-র-ল অবস্থা দেখে গত ৭ জুলাই ৫ সদস্য তারা তাদের সদস্যপদ প্রত্যাহার এবং শেয়ার সঞ্চয় ফেরত চেয়ে সভাপতি বরাবর আবেদন করলেও তাদের টাকা ফেরত দেননি তিনি। উপায়ান্তর না পেয়ে ভুক্তভোগী সদস্যরা গত ৩১ অক্টোবর জেলা সমবায় অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে সমিতির সভাপতির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।