জীবননগর নিশ্চিন্তপুরের ইতালি প্রবাসী ভোলা ভাতিজা আলমকেও টুরিস্ট ভিসায় ইটালি নিয়ে ফেলে বিপদে

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর নিশ্চিন্তপুরের ইতালি প্রবাসী আজিজুল ইসলাম ওরফে ভোলার বিরুদ্ধে টুরিস্ট ভিসায় ইতালি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুরের তিলন নুরুল্লাপুরের রুবেলসহ বেশ কয়েকজন এ অভিযোগ তুলে বলেছে, প্রতারণা করে ভোলা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভোলা তার নিজের ভাতিজার সাথেও প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন।

অভিযোগ তুলে বলা হয়েছে, ভোলা নিজের নামে দু বিঘে জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়াসহ নগদ পাঁচ লাখ টাকা গ্রহণ করে ইতালি নিয়ে যান ভাতিজা আলমগীর হোসেনকে। তাকেও টুরিস্ট ভিসায় ইতালি নিয়ে যাওয়ার পর চাকুরি না দিয়ে ছলচাতুরি শুরু করে। প্রবাসে দুঃসহ জীবন যাপনের একপর্যায়ে পালিয়ে থাকা আলমগীর অন্যের সহায়তায় বাড়ি ফিরে এখন জমি ও টাকার জন্য হন্যে হয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।

অপরদিকে ভোলা ঈদের ছুটি নিয়ে দেশে ফিরে বাড়ি না এসে দিব্যি শ্বশুরবাড়ি দামুড়হুদার নলবিলপাড়ায় অবস্থান করছে বলে অভিযোগকারীরা জানিয়েছে।

অভিযোগে আরো জানা যায়, জীবননগর উপজেলা আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মৃত ইঊছুফ আলীর ছেলে আজিজুল ইসলাম ওরফে ভোলা দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে ইতালি প্রবাসী। তার উন্নত জীবন যাপনের প্রতি আকৃষ্ট হন চাচাতো ভাই মৃত কাশেদ আলী মণ্ডলের ছেলে ভাতিজা আলমগীর হোসেন। ভাতিজা আলমগীর ইতালিতে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে তিনি তার নিকট থেকে দু বিঘা রেজিস্ট্রি করে নেয়াসহ নগদ পাঁচ লাখ টাকা নেন। দীর্ঘ দিন ঘুরিয়ে অবশেষে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে ইতালি নেন ভোলা। ইতালিতে গিয়ে চাকুরির কথা বললে আলমগীরকে তাড়িয়ে দেন তিনি। এসময় আলমগীর বুঝতে পারেন তাকে তিন মাসের টুরিস্ট ভিসা দিয়ে তার সাথে প্রতারণা করেছেন চাচা ভোলা। তিনি আবার চাচা ভোলার কাছে ফিরে গিয়ে টুরিস্ট ভিসা কেন দিয়েছেন জিজ্ঞাসা করলে ভোলা বলেন আনার কথা এনে দিয়েছি। এখন যা পারিস কর গিয়ে। অসহায় আলমগীর বিভিন্ন স্থানে চাকুরি জন্য ধর্ণা দিয়ে একপর্যায়ে তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ফলে তিনি পুলিশি হয়রানি ও গ্রেফতার এড়াতে পলাতক জীবন শুরু করে। পরে ইতালির এক মহিলাসহ প্রবাসী দু বাংলাদেশীর সহায়তায় তিনি দেশে ফেরেন।