জীবননগর ডুমুরিয়ায় আরো ৬ জনকে সাপে দংশন করেছে বলে দাবি

 

জীবননগর ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামবাসী সাপের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। তারা বলেছে, গত ২১ দিনে ২২ জনকে সাপে দংশন করেছে। অবশ্য সত্যিই দংশন নাকি সাপ আতঙ্কে হিস্টিরিয়া তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন যুবসমাজের একাংশ।

এর মধ্যে একজন স্কুলছাত্র মারা গেছে। গতকাল সোমবার ৬ জন সর্প দংশনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে এক ওঝাঁর পুত্রবধূও রয়েছে। দংশিতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। চরম আতঙ্কে দিন কাটছে ডুমুরিয়া গ্রামবাসীর। সাপ তাড়াতে তারা মানতসহ ওঝাঁ-কবিরাজের দ্বারস্থ হচ্ছে।

গ্রামের রবিউল ইসলাম জানান, গতকাল ৬ জনকে সাপে দংশন করেছে। এরা হচ্ছে কাওছার আলী (৫০), সুজন (৬), আনছার আলী (৬০), ফজলু করিম (৮০), সকিনা খাতুন (২৮) ও ফজলুর রহমান (৪৮)। সকিনা খাতুন গ্রামের একজন ওঝাঁর পুত্রবধূ। এর আগে ১৬ জনকে সাপে দংশন করে। এর মধ্যে সিজার (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়। গ্রামবাসী জানায়, অতিবর্ষণের ফলে মাঠ-ঘাট ডুবে যাওয়ায় বিষধর সাপ-বিচ্ছু গ্রামটিতে এসে আশ্রয় নিয়েছে। যেখানে সেখানে দেখা মিলছে বিষধর সাপের। রাত হলে সাপ বাড়ির আঙিনাসহ মাটির ঘরে উঠে পড়ছে। ফলে হরহামেশা সর্পদংশনের শিকার হচ্ছে মানুষ।