জীবননগরে সন্ধ্যারাতে আবারও মুখোশধারী দুর্বৃত্তদলের মহড়া : আহত বিএনপি নেতা ঠিকাদার মিন্টু সঙ্কটমুক্ত

 

জীবননগর ব্যুরো: মাত্র ১দিনের ব্যবধানে গতকাল শনিবার শহরের হাসপাতাল সড়কে সন্ধ্যারাতে আবারও অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদল সশস্ত্র মহড়া দিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে। দুর্বৃত্তদল এ সময় বিএনপির অপর একটি গ্রুপের নেতার ভাইয়ের খোঁজ করছিলো বলে জানা গেছে। সশস্ত্র এ মহড়ার ঘটনায় শহরবাসী চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।

এদিকে শুক্রবার রাতে দুর্বৃত্তদলের হাতে গুরুতর জখম বিএনপি কর্মী জাহাঙ্গীর আলম ও আওয়ামী লীগকর্মী ফুলবাবু চিৎকিসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। অপরদিকে যশোর জেলারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতা ঠিকাদার আসাদুজ্জামান মিন্টুর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সে এখন সঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকসূত্রে জানা গেছে।

এদিকে এ ঘটনায় গতকাল শনিবার রাত ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানাতে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। ওসি আব্দুর রকিব খাঁন জানান, মামলা করা হবে বলে তাকে মৌখিকভাবে অবগত করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনার সাথে উপজেলা বিএনপির বিবাদমান ৩টি গ্রুপের মধ্যে বাবু খাঁন গ্রুপ অথবা নোয়াব আলী গ্রুপের বাহিনী জড়িত এমন আলাপ দিনভর মানুষের মুখে মুখে ফিরেছে। গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মুখোশ পরিহিত অজ্ঞাতনামা সশস্ত্র দুর্বৃত্তদল বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিনের বস্তার দোকানের সামনে হামলা চালিয়ে বিএনপির দু নেতাকর্মীসহ ৩ জনকে কুপিয়ে আহত করে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগকর্মী ফুলবাবু আকস্মিকভাবে সেখানে উপস্থিত হওয়ায় সে পরিস্থিতর শিকার বলে জানা যায়। তার ওপরও হামলা করা হয়। আহতদেরকে জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপি নেতা ঠিকাদার মিন্টুর অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়ায় তাকে যশোর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে গতকাল সন্ধ্যা রাতে জীবননগর হাসপাতাল সড়কে আবারও মুখোশ পরিহিত সশস্ত্র ক্যাডারবাহিনী প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে মহড়া দিয়েছে। এ সময় তারা বিএনপির স্থানীয় একটি গ্রুপের এক নেতার ভাইয়ের খোঁজ করছিলো বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় শহরজুড়ে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে বিএনপির একাধিক গ্রুপের মধ্যে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে এমন আলোচনা দিনভর ছিলো মানুষের মুখে। তাদের দাবি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে শান্ত জীবননগরকে এরকম অশান্ত করে তোলার কোনো মানে হয় না। ব্যবসা প্রসিদ্ধ জীবননগরের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে রক্তের এ হোলি খেলার শুরুতেই তা বন্ধ হওয়া উচিত।