জাজ পদবির ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন

স্টাফ রিপোর্টার: নিম্ন আদালতের বিচারকদের নামের আগে জাজ শব্দের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে গতকাল রোববার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের বেঞ্চ এ বিষয়ে রুল জারি করেন। রুলে সুপ্রিমকোর্টের বিচারক নয়, এমন কারো নামের আগে জাজ যুক্ত না করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি সার্কুলার দিতে আইন সচিবকে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের মাসিক আইন পত্রিকা বাংলাদেশ লিগ্যাল ডিভিশনর সম্পাদক মো. তাহা মোল্লার নামের আগে পদবি জাজ না লিখতে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন আদালত। আইন সচিব, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সম্পাদক, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের মাসিক আইন পত্রিকা বাংলাদেশ লিগ্যাল ডিভিশনের (বিএলডি) সম্পাদক মো. তাহা মোল্লাকে দু সপ্তার মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আসাদুজ্জামান সিদ্দিকীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ রিট আবেদনটি দায়ের করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত রায়। রিট আবেদনে বলা হয়, বিএলডিতে মো. তাহা মোল্লার নামের আগে জাজ শব্দ ছেপে বিবাদীরা সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদ অনুসারে জাজ বলতে কেবল সুপ্রিমকোর্টের বিচারকদের বোঝায়। এ টার্ম ব্যবহারের মাধ্যমে বিবাদীরা সুপ্রিমকোর্টের জাজদের সম্মানহানি করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে মনজিল মোরসেদ বলেন, জাজ বলতে সুপ্রিমকোর্টের জাজদেরকেই বোঝানো হয়। অন্য কেউ চাইলে ডিস্ট্রিক্ট জাজ ইত্যাদি লিখতে পারে।