জনযুদ্ধের আঞ্চলিক প্রধান শুড়ার জিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

ঝিনাইদহ-হরিণাকুণ্ডু সড়কের ঘোড়দহ মাঠের ধানক্ষেতে হাত-পা বাঁধা লাশ

 

ঘটনাস্থল থেকে ফিরে কে. মান্নান: ঝিনাইদহ হরিণাকুণ্ডুর পৌর এলাকা শুড়ার জিয়াউদ্দীন জিয়াকে (৩০) হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে কাপাসাটিয়া ঘোড়দহ মাঠের ধানক্ষেতে লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের স্বজনরা লাশ শনাক্ত করে। এ সময় পুলিশ জানায়, জিয়া ছিলো চরমপন্থি দলের সক্রিয় সদস্য। আভ্যন্তরিন কোন্দলে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

জানা গেছে, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড শুড়ার অলোক জোয়ার্দ্দারের ছোট ছেলে জিয়াউদ্দীন জিয়া কবে কখন বাড়ি থেকে বের হয়েছে তা তার স্ত্রী আলমডাঙ্গা জামজামির মধূপুর গ্রামের ববিতাও স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি। ববিতা মধূপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল গণির মেয়ে। জিয়া দিনে প্রকাশ্যে ঘুরলেও রাতে বাড়ি ফিরতো না। ববিতা ৬ বছরের মেয়ে উর্মী ও ১ বছর বয়সী ছেলে জিহাদকে নিয়ে কখনো পিতার বাড়ি, কখনো স্বামীর ভিটেয় বসবাস করতো। ববিতা জানিয়েছে, ৮ বছর এভাবেই চলছিলো সংসার। তবুওতো স্বামী ছিলো। কে বা কারা কেন হত্যা করেছে সে সম্পর্কে কিছুই জানে না বলে জানিয়েছেন ববিতা।

পুলিশ বলেছে, জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি জনযুদ্ধের আঞ্চলিক নেতা বলে পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজিসহ নানপ্রকারের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলো। পুলিশের দৃষ্টিতে দাগি জিয়াকে ধরতে মাঝে মাঝে অভিযানও চালানো হতো। ধরা পড়ার আগেই তাকে কে বা কারা হত্যা করে ধানক্ষেতে লাশ ফেলে রেখেছে। হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

            হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ মহিবুল জানান, স্থানীয়দের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে লাশ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ হাসপাতালমর্গে নেয়া হয়। গতকালই ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। সন্ধ্যায় নিজ গ্রামে দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়। থানায় হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলিছিলো।