ছেলের পরকীয়া মেনে নিতে না পেরে অভিমানী মায়ের আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার: প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে ছেলের পরকীয়া মেনে নিতে না পেরে অভিমানী মা তাছলিমা খাতুন (৪৫) আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল সোমবার সকাল ৯টার দিকে ঘরের বারান্দায় ছোট ছেলেকে খেতে দিয়ে ঘরের মধ্যে ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।

‌‌                তাছলিমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার গোপালপুর গ্রামের হানেফ আলীর স্ত্রী। শ্যালোইঞ্জিনচালিত অবৈধযান দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ববরণ করে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে স্বনির্ভরতা হারিয়েছেন হানেফ। সংসার চালাতেন মূলত তাছলিমা খাতুন। বড় ছেলে স্বপন (২২) বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিবেশী এক সন্তানের জননীর সাথে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক সন্তানের জননীর স্বামী দুবাই প্রবাসী। বিষয়টি গ্রামবাসীর কাছে আর গোপন থাকেনি। স্বপন প্রবাসীর স্ত্রী এক সন্তানের জননী মমতাজকে বিয়ে করার জন্য মায়ের সম্মতি চায়। মা বেকে বসেন। এরপরও ছেলে স্বপন ওই মমতাজের সাথে বিয়ে করবে বলে জানালে মা তাছলিমা ক্ষুব্ধ হন। গতকাল সকালে মমতাজের শাশুড়ি স্বপনের বাড়িতে গিয়ে স্বপনের মায়ের সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর ছোট ছেলে সবুজ খেতে চায়। মা তাছলিমা ছোট ছেলেকে বারান্দায় খাবার দিয়ে ঘরের ভেতর ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। ছেলে জানালা দিয়ে তার মায়ের ঝুলন্ত লাশ দেখে চিৎকার দেয়। প্রতিবেশীরা লাশ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। দামুড়হুদা থানার এসআই আফজাল প্রাথমিক তদন্ত সম্পন্ন করেন। মমতাজের পরিবারের সাথেও কথা বলেন। অবেশেষে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিজ গ্রামে দাফন সম্পন্ন হয়।