চোরাই ল্যাপটপসহ অফিসের দুই কর্মচারী আটক : এসআই খালিদ পুরস্কৃত

চুয়াডাঙ্গায় গণপূর্ত বিভাগের উপ-প্রকৌশলীর বাসভবন থেকে ল্যাপটপ চুরির সাথে সাথে পুলিশের অভিযান
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা গণপূর্ত বিভাগের এক প্রকৌশলীর ল্যাপটপ চুরির একদিনের মাথায় তা পুলিশ উদ্ধার করেছে। ওই প্রকৌশলীর অফিসের এক কর্মচারীর বাড়ি থেকে তা উদ্ধার করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই খালিদ। একই সঙ্গে ল্যাপটপ চুরির সঙ্গে জড়িত থাকায় গণপূর্ত বিভাগের দুই কর্মচারীকে আটক করেছেন তিনি। তার এই তড়িৎ তৎপরতায় খুশি হয়ে জেলা পুলিশ তাকে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হারুন অর রশীদের সরকারি বাসভবনে গত রোববার দিনগত রাতে কেউ ছিলেন না। ওই রাতে হারুন অর রশীদের বাসভবন থেকে তার একটি দামি ল্যাপটপ চুরি হয়ে যায়। তিনি সকালে থানায় জিডি করেন। এ বিষয়ে সদর থানা থেকে দায়িত্ব দেয়া হয় থানার এসআই খালিদকে। তিনি বিভিন্নভাবে খোঁজখবর নিয়ে চোর শনাক্তের চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে গতরাত ৮টার দিকে অফিসের পিয়ন রিপন আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এসআই খালিদ। জিজ্ঞাসাবাদে রিপন ল্যাপটপ চুরির বিষয় স্বীকার করে জানান, অপর পিয়ন শহিদুল ইসলাম আমাকে নিয়ে এসে দিয়েছেন। অবশেষে সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের রাজাপুরের রিপন আলীর বাড়ি থেকে ল্যাপটপটি উদ্ধার করা হয়। রিপন আলীর বাড়ির সাববাক্স থেকে গতরাত সাড়ে ১২টার দিকে ল্যাপটপটি উদ্ধার করা হয় বলে এসআই খালিদ জানান। তিনি বলেন চুরির সাথে জড়িত থাকায় অভিযুক্ত চোর রিপন আলী ও শহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়। আটককৃত রিপন রাজাপুর গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে। অপর আটক শহিদুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা সিঅ্যান্ডবিপাড়ার মৃত জাকির হোসেনের ছেলে। পুলিশ জানায়, সরকারি বাসভবনের তালা ভাঙাও ছিলো না, খোলাও ছিলো না। ধারণা করা হচ্ছে কর্মচারীদের কাছে নকল চাবি ছিলো। তারা ওই চাবি দিয়ে কৌশলে ল্যাপটপটি চুরি করে।
এদিকে এসআই খালিদ অল্প সময়ের মধ্যে ল্যাপটপ উদ্ধার ও চোর আটক করায় পুলিশ কর্তৃপক্ষ তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। একই সাথে তার কর্মতৎপরতায় খুশি হয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এসআই খালিদকে ৫ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তরিকুল ইসলাম।