চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে হাতিটির নাগাল

 

স্টাফ রিপোর্টার: চেতনাশক ওষুধ দিয়ে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় বুনো হাতিটিকে অচেতন করা হয়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে জামালপুর সরিষাবাড়ি উপজেলার একটি গ্রামের ডোবার পানিতে পড়ে যায়। পরে সেখান থেকে হাতিটি উদ্ধার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুরের সরিষাবাড়ীর কামরাবাদ ইউনিয়নের কয়রা গ্রামে ট্রাংকুলাইজার বন্দুক থেকে ডার্ট ছুড়ে হাতিটিকে অচতন করা হয়। উদ্ধারকারী দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুপুরে হাতিটিকে চেতনানাশক ডার্ট দিয়ে ট্রাংকুলাইজার বন্দুক থেকে শুট করা হয়। গভীর পানির মধ্যে পড়ে সেটি নড়াচড়া করতে পারছিল না। কামরাবাগ ইউনিয়নের কয়রা গ্রাম ও ঢানাডা গ্রামের কয়েকশো লোক পানিতে নেমে লম্বা রশি নিয়ে হাতির পায়ে শুঁড়ে রশি বেঁধে টেনে তোলে। এরপর অজ্ঞান হাতিটিকে একটি বড় আমগাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়। বনবিভাগের কর্মীরা জানিয়েছেন, হাতিটা জীবিত আছে। তবে পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। কর্মকর্তারা এখন হাতিটির জ্ঞান ফেরার অপেক্ষায়। বনবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, জ্ঞান ফেরার পর হাতিটিকে ট্রাক কিংবা অন্য কোনোভাবে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত ২৬ জুন বন্যার পানিতে ভেসে আসাম হয়ে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম সীমান্তে আসে ভারতীয় বুনো হাতিটি। এরপর হাতাটি ঘুরতে ঘুরতে জামালপুরে আসে। হাতিটি উদ্ধারে ভারতীয় প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসলেও ব্যর্থ হয়। এখন বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দল হাতিটি উদ্ধার করছে।