চুয়াডাঙ্গা হায়দারপুরে স্কুলের মধ্যে নারী নিয়ে ফূর্তি করতে না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও শ্রেণিকক্ষে মরা কুকুর নিক্ষেপ?

 

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: রাতে স্কুলের মধ্যে বহিরাগত নারী এনে ফূর্তি করতে সুযোগ না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যালয়ে তালা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এছাড়া রাতের অন্ধকারে স্কুলের শ্রেণিকক্ষের মধ্যে মরা কুকর নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে হায়দারপুর গ্রামের কতিপয় যুবকের বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে হায়দারপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার হায়দারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসএমসি সদস্য ফরজুল্লা জানান, গ্রামে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় গ্রামের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার কথা বিবেচনা করে ডিঙ্গেদহ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজি আনছার আলী ও হাজি কলম আলী তালবাগান ব্রিজের নিকট বিদ্যালয় নির্মাণের জন্য জমি দান করলে ২০১০ সালে বিদ্যালয়টি নির্মাণ করা হয়। প্রায় ৫ বছর ধরে ৪ জন শিক্ষক প্রামের দু শতাধিক ছেলেমেয়েদের নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে এবং মাঝে মধ্যে স্কুলে বেঞ্চ জড়ো করা থাকলে সন্দেহ হয় এখানে রাতে কোনো অনৈতিক কাজ হয়। এরই প্রেক্ষিতে বিদ্যালয়টি পাহারা দেয়ার জন্য একই গ্রামের ডালু ও ফারুক হোসেনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু ১০/১২ দিন আগে রাতে হায়দারপুর গ্রামের মওলার ছেলে হাসিবুল, আরশেদের ছেলে মন্টু, চাঁদ মিয়ার ছেলে টগর ও ইউছুপের ছেলে আরিফুল টেইপুর গ্রামের একজন মহিলাকে নিয়ে আসে ফূর্তি করার জন্য। ডালুর কথার শব্দ পেয়ে মহিলাকে ছেড়ে যুবকেরা পালিয়ে যায়। ডালু ও ফারুক হোসেন মহিলাকে আটক করলে সে তার অপকর্মের কথা স্বীকার করে। পরে তাকে ৩০ টাকা দিয়ে অটোরিকশায় তুলে দেয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা স্কুলের চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ ভাঙচুর ও শ্রেণিকক্ষের মধ্যে মরা কুকুর রাতের অন্ধকারে ফেলে রাখে। এরই প্রেক্ষিতে গতপরশু রোববার সন্ধ্যায় তালবাগান মোড়ে সালিসের আয়োজন করা হয়। অভিযুক্তরা সালিস অমান্য করে বিদ্যালয়ের কমিটি ও পাহারাদারদের নামে মানহানি মামলা করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে করুণীয় নিয়ে আজ মঙ্গলবার স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির জরুরি সভা হবে।

এ ব্যাপারে ইউছুপের ছেলে আরিফুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এর আগে আওয়ামী লীগের লোকজন হরতালের গাড়ি ভাঙচুরের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করে ব্যর্থ হয়েছিলো। এবার আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।