চুয়াডাঙ্গা স্টেশন থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি এবং

কিশোরীর কথায় অসঙ্গতি : গলদঘর্ম পুলিশ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা স্টেশন থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা কিশোরীকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। কীভাবে অজ্ঞান হলো? কেন সে বাড়ি থেকে বের হলো? একেক সময় একেক রকম পরিচয়ই বা দিচ্ছে কেন? এসব প্রশ্নের জবাব না পেয়ে পুলিশেরও গলদঘর্ম অবস্থা।

কিশোরী গতপরশু তার নাম বলেছিলো লিজা। গতকাল শনিবার বলেছে নাম লিপা। গতপরশু পরিচয় দিতে গিয়ে এক সময় বলে, যশোর বারান্দিপাড়া, এক সময় বলে যশোর খেজুরা। যশোর বাহাদুরপুর ও খুলনা মানিকতলা। গতকাল অবশ্য বিস্তারিত পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছে, পিতার বাড়ি খুলনা মানিকতলায়। মা মারা গেছে। বাবা বিয়ে করে নতুন সংসার নিয়ে থাকে।

লিজা ওরফে লিপা গতপরশু বলেছিলো, সে ইত্তে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণিতে পড়ে। গতকাল বলেছে, সে যশোর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। কোনটি ঠিক? তা নিয়েও কৌতূহলী পুলিশ। গতকাল কিশোরীকে দেখতে উৎসুক জনতা হাসপাতালের ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে ভিড় জমায়। কিশোরীকে গতপরশু শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। স্টেশন মাস্টারসহ স্থানীয়দের সহযোগিতায় আরামপাড়ার জমসের আলীর স্ত্রী পরিছন হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। তিনিই কিছু টাকা দিয়ে ওষুধ কিনে দেন। খাবার দাবারেরও ব্যবস্থা করেন।

কিশোরী গতপরশু হাসপাতালে চিকিৎসার এক পর্যায়ে জ্ঞান ফিরলে জানায়, অপছন্দের পাত্রের সাথে বিয়ে ঠিক করার কারণে বাড়ি থেকে রাগ করে বের হয়েছে। বের হওয়ার সময় কাছে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আসে। সেই টাকা ও কাছে থাকা মোবাইলফোনের হদিস পাচ্ছে না বলেও জানিয়েছে সে। একটি মোবাইলফোন নম্বর দিয়ে বলেছে, ওটা তার ভাই মনিরুলের নাম্বার। সেই নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে কথা বার্তায় সন্দেহ ফুটে ওঠে। মনিরুল ওই কিশোরীকে বোন বলে স্বীকার করলেও বোনকে চুয়াডাঙ্গা থেকে ফিরিয়ে নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। সে কিশোরীর আপনজনদের প্রকৃত পরিচয়ও দিতে পারেনি।

‌                কিশোরীর কথা বার্তায় যেমন স্মার্ট, পোশাকও বেশ দামি। অথচ কথায় অসঙ্গতী। গতকাল কিশোরীর প্রতিবেদন দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সদর থানার এসআই খালিদ কয়েক দফা কিশোরীর সাথে কথা বলেন। তিনি কথা বলে সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে খানেকটা হতাশ। তিনি বলেছেন, একেক সময় একেক রকম নাম ও পরিচয় দেয়ায় বিপাকে আছি। প্রকৃত ঘটনা বোঝা যাচ্ছে না। তবে কিশোরীর দেয়া ঠিকানা ইতোমধ্যেই যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। তার প্রতি পুলিশি নজরদারিও চলছে।