চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অনার্স পরীক্ষার্থীকে ভুয়া সন্দেহে আটক

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের দু অনার্স পরীক্ষার্থীকে পুলিশ আটক করলেও পরে অধ্যক্ষের সুপারিশে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। ওই দুজন ভুয়া পরীক্ষার্থী বলে কলেজসূত্রে জানা গেছে। কলেজের অধ্যক্ষের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে ওই দু পরীক্ষার্থী অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নেয় বলে জানা যায়। এ ঘটনার সাথে অভিযুক্ত দু পরীক্ষার্থী না কি কলেজের কেউ জড়িত এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ফলে এ ব্যাপারে দু সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়ার কথা।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়েছে গত ২৩ সেপ্টেম্বর। ব্যবস্থাপনা বিভাগে ১০২ জন পরীক্ষা দেয়ার কথা। কিন্তু ১০৪ জন পরীক্ষা দেয়ার কারণে কলেজ কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। পরে যাচাই বাছাই করে দুজন ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত করে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ তাদেরকে আটক করে থানায় নেয়। পরে অধ্যক্ষের সুপারিশে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। কলেজসূত্রে জানা যায়, কলেজ অধ্যক্ষের সিল ও সই জালকরা প্রবেশপত্র পাওয়া যায় অভিযুক্ত দু পরীক্ষার্থীর কাছে। অভিযুক্তরা হলো, চুয়াডাঙ্গা সিঅ্যান্ডবিপাড়ার ইকার আলীর ছেলে মহিদুল ইসলাম ও দামুড়হুদা উপজেলার দলকালক্ষ্মীপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২২)। তবে অভিযুক্ত ছাত্ররা ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তারা বলেছে, ওই বিভাগের পিয়ন মিলনের কাছ থেকে তারা বৈধ হিসেবেই প্রবেশপত্র দুটি নিয়েছিলো। এখন অভিভাবক মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, ওই দু ছাত্রই অপরাধী না কি কলেজের কোনো শিক্ষক-কর্মচারী ওই জাল প্রবেশপত্র তৈরির সাথে জড়িত। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই পরিষ্কার হওয়া যাবে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ মনে করে।