চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস পালন করেছে বিএনপি : বক্তারা বলেছেন

 

দেশের মানুষ যখন দেশমাতৃকার নেতার অপেক্ষায় তখন বর্তমান সরকার করছে ষড়যন্ত্র 

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশে তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস পালিত হয়েছে। বিএনিপর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মিছিল মেহেরপুর ও মুজিবনগরে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। অপরাংশ করেছে আলোচনাসভা। ঝিনাইদহের মিছিল ছিলো বাধামুক্ত।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি বহু ভাগে বিভক্ত। জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে সকাল ১০টায় মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ফিরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। বিএনপির অপরাংশ কেদারগঞ্জস্থ কার্যালয়ে সন্ধ্যায় আলোচনসভার আয়োজন করে বলে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। দর্শনায় বিএনপি একাংশের সিনিয়র সহসভপতি ইঞ্জিনিয়ার মোখলেছুর রহমান তরফদার টিপুর নেতৃত্বে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। আলমডাঙ্গা বিএনপির একাংশের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা।

আলোচনাসভায় বক্তারা বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রায় সকলেই আসন্ন নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোকে মিথ্যা বলে দাবি তুলে তা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে দেশে ফেরার পরিবেশ গড়ে তোলারও আহ্বান জানানো হয়। বলা হয়, তারেক রহমানই দেশের ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী। তিনিই দিকহারা দেশবাসীকে মুক্তির পথ দেখাবেন। তার জন্য দেশের মানুষ যখন অধির আগ্রহে অপেক্ষার প্রহর গুণছে তখন বর্তমান সরকার আসন্ন নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করছে। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশবাসী বর্তমান সরকারের সকল চক্রান্ত ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করেই ছাড়বে।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ষষ্ঠ কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় মিছিল ও সমাবেশ করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। দলীয় কার্যালয় থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় অফিসের সামনে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, তারেক রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীতু হয়ে এ সরকার তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাকে এ দেশে আসতে দেয়া হচ্ছে না। তার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। বক্তারা আরো বলেন, এদেশে জনগণের দাবির প্রতিফলন ঘটিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সহসভাপতি এম. জেনারেল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আ.স.ম আব্দুর রউফ, সদর থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শামীম রেজা ডালিম, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মন্টু, সদর পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক মালিক মজু। বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাড. মঈনুল হোসেন, সহসভাপতি আইয়ুব মল্লিক, যুগ্মসম্পাদক রবিউল ইসলাম লিটন, জেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক মোকাররম হোসেন, বিএনপি নেতা সাবেক দামুড়হুদা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তনু, জেলা যুবদলের সদস্য আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, মোখলেছুজ্জামান মোখলেছ, আরিফুজ্জামান পিন্টু, তৌফিকুজ্জামান তৌফিক, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরিফ উর জামান সিজার, সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক এমএ তালহা, যুগ্মআহ্বায়ক মঞ্জুরুল জাহিদ, রাজিব খান, সুজন মালিক, জেলা ওলামাদলের সভাপতি ফজলুর রহমান, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট সভাপতি সুশিল কুমার, শ্রমিকদলের নেতা শহীদ হোসেন লাড্ডু, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রভাষক আতিয়ার রহমান, মাহাবুবুর রহমান খোকন, শাহাদত মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহম্মেদ, আসাদ মেম্বার, আতিয়ার রহমান লিটন, বাবুল আক্তার, পৌর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মজনু মণ্ডল, মাহমুদুল কবীর স্বপন, পৌর বিএনপি নেতা গোলাম কিবরিয়া তিস্তা, আবুল বাসার, টোটন খান, শাহানাজ কালু, বজলুর রহমান প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির একাংশ এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এ দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির একাংশ আলোচনাসভা আয়োজন করে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় কেদারগঞ্জস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপি সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাড. এমএম শাহাজাহান মুকুল, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক রউফুন নাহার রীনা, আইন বিষয়ক সম্পাদক হেদায়েত হোসেন আসলাম, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, এ সরকার তারেক রহামানের বিরুদ্ধে যতোই অপপ্রচার করুক না কেন বাংলাদেশের মানুষ হৃদয় থেকে তার নাম কখনো মুছতে পারবে না। তিনি বলেন, তারেক রহামানের বিরুদ্ধে যতো মামলা গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে হয়েছে তার একটিও আদালতে প্রমাণ হয়নি আগামীতে যেদিন তিনি চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরবেন সেদিন থেকেই তার নেতৃত্বে সরকার পতনের একদফা আন্দোলন শুরু হবে। সেই আন্দোলনে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সকল স্তরের নেতাকর্মীকে সক্রীয় অংশগ্রহণ করার উদ্দাত্ত আহ্বান জানান।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি অর্থবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের উদ্যোগে কোর্টমোড়স্থ কার্যালয়ে গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভার আয়োজন করে। সভায় জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক আইনুর হোসেন পচার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হবি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপি নেতা আরশেদ আলী কালু, কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের সদস্য জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল, জেলা কৃষকদলের নেতা হামিদুল হক নেতাজীর, জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম ওহিদ, জেলা তৃণমূল দলের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, আলমডাঙ্গা থনা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মসিউর রহমান বাবু, যুগ্মআহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মিন্টু, যগ্মআহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা থানা মৎস্যজীবী দলের যগ্মআহ্বায়ক আশরাফুল আলম বাবলু, পৌর বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ২ নং ওয়ার্ড সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক পিন্টু মিয়া, ৮ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দীন, ৩ নং ওয়ার্ড সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলুসহ অন্যান্য নেত্রীবৃন্দ।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গায় দিবস পালিত হয়েছে। উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যগে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসরাফ হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর বিএনপির সম্পাদক আজিজুর রহমান পিন্টু, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এমদাদুল হক ডাবু, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, কৃষকদলের সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মহির উদ্দিন, হারদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মহিনুল ইসলাম, পৌর বিএনপির যুগ্মসম্পাদক আ. রকিব। উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক মিল্টন মল্লিকের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন রেজাউল হক, হাফিজুর রহমান চমক, একরামুল হক বুলু, জিল্লুর রহমান ওল্টু, মহির উদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ মালিথা, বিএনপি নেতা শওকত খান, ডা. নেকবার আলী, মীর শরিফ, রহিদুল হক, উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক মাগরিবুর রহমান, ওহিদুল ইসলাম বাবু, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক বাকী বিল্লাহ প্রমুখ।

মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছে, এ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রা পুলিশ বাধায় পণ্ড হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মুজিবনগর উপজেলা শহরের প্রধান সড়কে শোভাযাত্রা করতে গেলে পুলিশ বাধা দিয়ে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এর আগে মুজিবনগর হাটমাঠে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দাল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সম্পাদক বদরউদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ। বক্তব্য রাখেন মোনাখালী বিএনপির সম্পাদক রায়হান কবির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্মআহ্বায়ক আজিমুদ্দীন গাজী, মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল হোসেন, ছাত্রদল নেতা আহম্মেদ রাজিব খান, বাপ্পী প্রমুখ। বিশৃঙ্খলা এড়াতে শোভাযাত্রা করতে দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রবিউল হোসেন।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জহানিয়েছেন, বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ঝিনাইদহে এ দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি। সকাল ১১টার দিকে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে কেপি বসু সড়কে জেলা বিএনপি কার্যালয় চত্বরে সমাবেশ করে নেতাকর্মীরা। বিএনপি নেতা জাহিদুজ্জামান মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয়  সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য মসিউর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মাহবুবুল আলম, আব্দুল মতলেব, আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, আক্তারুজ্জামান, এম শাহজাহান আলী, আশরাফুল ইসলাম পিন্টু, আহসান হাবীব রনক, ফজলে ইলাহী শিমুল ও আরিফুল ইসলাম আনন। সমাবেশে মসিউর রহমান বলেন, তারেক রহমান ছাড়া বাংলাদেশের মাটিতে কোনো নির্বাচন হবে না। তারেকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। যারা ১/১১ এনেছিলো, তারা তারেক রহমানের ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন দিলে তারেক রহমান দেশে আসবেন।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনায় আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দর্শনা বাসস্ট্যান্ডস্থ রহম আলীর গ্যারেজ চত্বরে অনুষ্ঠিত সভার সভাপতিত্ব করেন পৌর বিএনপি একাংশের সভাপতি রহম আলী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির একাংশের সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোখলেসুর রহমান তরফদার টিপু বলেন, বর্তমান সরকার জনগণকে ধোকা দিয়ে আবারো ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টায় মেতেছে। জনবিচ্ছিন্ন এ সরকার ১৮ দলীয় জোটের গণজোয়ার দেখে বেসামাল হয়ে পড়েছে। তাই তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে ভয় পাচ্ছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যতোই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন তা শক্ত হাতে আমরা প্রতিহত করবো। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক, ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী, দর্শনা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল ইসলাম খোকন, বিএনপি নেতা ফজলুল হক, রফিকুল আলম প্রমুখ।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, এ দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে বিক্ষোভ মিছিল পুলিশি বাধার মুখে পণ্ড হয়েছে। পরে আয়োজকরা আলোচনাসভার মধ্যদিয়ে তাদের কর্মসূচি পালন করে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে জেলা বিএনপির শাহাজীপাড়াস্থ কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি মীর আলমগীর ইকবাল আলমের নেতৃত্বে মিছিলের ছাত্রদলের নেতাকর্মী পুলিশি বাঁধার মুখে পড়ে। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. মোস্তাকিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক আনছার-উল হক। উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা ফয়েজ মোহাম্মদ, আজমল হোসেন মিন্টু, ওমর ফারুক লিটন, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি মীর আলমগীর ইকবাল আলম, যুগ্মসম্পাদক কাউছার আলী, গাংনী পৌর ছাত্রদলের সভাপতি কামরুজ্জামান কামু, ছাত্রনেতা হাসানুর রহমান, প্রমুখ।