চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ

ট্রাইব্যুনালের সকল রায়ই প্রশ্নবিদ্ধ : সুপ্রিমকোর্ট অন্ধ থাকতে পারে না

 

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ট্রাইব্যুনাল ঘোষিত সকল রায় প্রশ্নবিদ্ধ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। তারা বলেছেন, বিচার কাজ নিয়ে বাইরের লোকজনের সাথে বিচারপতিদের স্কাইপি আলোচনা এবং আদালতে রায় ঘোষণার আগেই তা প্রকাশ হয়ে যাওয়াসহ সরকারের লোকজনের বিভিন্ন বক্তব্য-মন্তব্য এসব রায়কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ অন্ধ থাকতে পারে না। সর্বোচ্চ আদালতের উচিত এ বিষয়গুলো আমলে নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনা করা। বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ কারো রায় কার্যকর না করার দাবি জানান তারা।

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার এবং সুপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রীয় সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের সরকারি অপচেষ্টার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে দলটির নেতারা এ অভিযোগ করেন।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, আমি ৫৩ বছর ধরে আদালতের আঙ্গিনায় ঘুরছি, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে দেয়া এ রায় চূড়ান্ত নয়। যেহেতু আদালতে ঘোষণার আগেই রায়টি ফাঁস হয়ে গেছে, সে কারণে এ রায় ত্রুটিপূর্ণ। আপিল বিভাগ নিশ্চয়ই চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না। সর্বোচ্চ আদালত কোনো ফাঁদে পা না দিয়ে এসব বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখবে। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে যখন অপরাধ সংঘটনের কথা বলা হচ্ছে, তার সাফাই সাক্ষীরা বলেছেন-ওই সময় তিনি দেশেই ছিলেন না। তাহলে যারা বলেছেন একাত্তরে তিনি মানুষ হত্যা করেছেন, বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছেন তা আপিল বিভাগ গ্রহণ করবেন কীভাবে? তাছাড়া হাইকোর্টের একজন বিচারপতি সাক্ষ্য দিতে পারেননি। আপিল বিভাগে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে এ দুটি বড় গ্রাউন্ড রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা বুঝতে পেরেছি, এই রায় তৈরি করে দেয়া হয়েছে। তাই এ রায় মেনে নেয়া যায় না।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, এ সরকারের গত পাঁচ বছরের শাসনামলে অনেক কিছু দেখলাম। এবার তারা সবচেয়ে বড় চমক দেখিয়েছে। রায় ঘোষণার আগেই তা প্রকাশ হয়ে গেছে। ট্রাইব্যুনালও এটা স্বীকার করেছে, রেজিস্ট্রার থানায় জিডি করেছেন। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এবং এখানকার আইনি প্রক্রিয়াকে এভাবে অবমূল্যায়ন করবেন না।

মওদুদ বলেন, বিরোধীদলকে নির্যাতন ও দমন করা এই সরকার এক নম্বর এজেন্ডা হিসেবে নিয়েছে। তবে সরকার যতোই চেষ্টা কিংবা কৌশল করুক না কেন, এক পর্যায়ে নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নিতে তারা বাধ্য হবে। দেশে নির্বাচনও হবে, নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনেই সেই নির্বাচন হবে। আর সেই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও শান্তি ফিরে আসবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে দেয়া রায়টি আইন মন্ত্রণালয়ের। ঘোষণার আগেই হাইকোর্টের রায় প্রকাশ হয়-এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে নেই। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, রায়টি কার? ট্রাইব্যুনাল ছাড়া অন্য কারো রায় তৈরির সুযোগ নেই। এই বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় কার্যকরেরও কোনো সুযোগ নেই। সঠিক বিচার করতে হলে আগে রায় প্রকাশের অভিযোগে আইনমন্ত্রীর বিচার করতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা বারবার বলছি, বিএনপি সবসময়ই প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়। তবে সেই বিচার হতে হবে নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানের। রাজনৈতিক উদ্দেশে এটিকে ব্যবহার করা যাবে না। অথচ এই বিচারের মান নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল পর্যন্ত আজ প্রশ্ন তুলছে। অবাক বিস্ময়ে তারা তাকিয়ে দেখছে, বিচারের নামে এখানে কী হচ্ছে! যাবজ্জীবন দণ্ড হওয়ার পর আইন পরিবর্তন করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হল। রায় ঘোষণার আগেই তা আইন মন্ত্রণালয় থেকে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। তাহলে ন্যায়বিচার কিংবা আইনের শাসন বলতে কী কিছু আছে!

ফখরুল বলেন, আমরা ন্যায়বিচার চাই। রাজনৈতিক উদ্দেশে কাউকে শাস্তি দেয়া জনগণ মেনে নিতে পারে না। একথা আজ স্পষ্ট যে-এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততোদিন মানুষ ন্যায়বিচার পাবে না, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল নাম দেয়া হলেও এর বিচার আন্তর্জাতিক মানের নয়, সব রায়ই প্রশ্নবিদ্ধ। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার বলেই তাকে এমন শাস্তি দেয়া হচ্ছে। তবে ত্রুটিপূর্ণ রায় কার্যকর করা হলে এ সরকার খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত হবে। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে নগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা বলেন, আগে রায় প্রকাশের দায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পত্নী ফারহাত কাদের চৌধুরী, বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সালাহউদ্দিন আহমেদ, আব্দুস সালাম ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূলের চেষ্টা এবং সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের অপচেষ্টার প্রতিবাদে বিএনপি দেশব্যাপি বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল দলীয় কার্যালয় হতে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির সহসভাপতি এম জেনারেল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আসম আব্দুর রউফ, সদর থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শামীম রেজা ডালিম, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মন্টু, সদর পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক মজু, অ্যাড. মঈনুল হোসেন, মোকারম হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তনু, অ্যাড. বদিউজ্জামান।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি একাংশ এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জেলা বিএনপির সভাপতি মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টায় কোর্ট মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কোর্ট মোড়ে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জেলা বিএনপির সভাপতি মুহা. অহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাড. এমএম শাহাজান মুকুল, আব্দুল হালিম, সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা মহিলাদলের নেত্রী রউফুন নাহার রিনা, দপ্তর সম্পাদক আবু আলা সামসুজ্জামান, সহদপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান স্কয়ার, পৌর বিএনপির সহসভাপতি আওরঙ্গজেব বেল্টু, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লা জোয়ার্দ্দার ছটি প্রমুখ।

অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সহসভাপতি আইনুর হোসেন পচা স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল পাঁচটার দিকে সদর থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মনিরুজ্জামান মনির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আইনুর হোসেন পচা। প্রধান বক্তা ছিলেন আরশদ আলী কালু। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল, জেলা কৃষকদলের সভাপতি হামিদুল হক নেতাজী, জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম ওহিদ, জেলা তৃণমূলদলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান বাবু, আলমডাঙ্গা থানা তৃণমূল দলের আহ্বায়ক শামিম আল মামুন প্রিন্স, দামুড়হুদা থানা মৎস্যজীবীদলের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান লিটন, যুগ্মআহ্বায়ক আব্দুল হালিম হেলু, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক আত্তাব উদ্দিন পিন্টু, ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাইহান উদ্দীন, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিদুল ইসলাম বাবলু, পৌর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শুকুর আলী, সদর থানা মৎস্যজীবী দলের যুগ্মআহ্বায়ক রুহুল আমিন পচা, পৌর তৃণমূল দলের আহ্বায়ক সাঈদ, যুগ্মআহ্বায়ক সানোয়ার হোসেন, জীবননগর বাসস্ট্যান্ড মৎস্যজীবী দল ইউনিট কমিটির সভাপতি বাবলু,  সাধারণ সম্পাদক শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল, করিম, যুবদল নেতা রুবেল, মওলা, ইকবাল, শান্তি প্রমুখ।

অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্য শরিফুল আলম বিলাসের স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির অপর অংশ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল ওহাব মল্লিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলী হোসেন। বক্তব্য রাখেন মফিজুর রহমান মনা, সৈয়দ শরিফুর আলম বিলাস, মহাসিন আলী বিশ্বাস, আলমগীর কবীর, মহিলাদলের নেত্রী মমতাজ বেগম সন্ধ্যা, মনিরুজ্জামান লিপটন, নজরুল, মিলন রেজা, রনি, কাজল, দীপু, রুবেল, রাজ্জাক, মোহাম্মদ আলী, রহিম, পিন্টু প্রমুখ।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচির অংশ হিসেবে দর্শনা পৌর বিএনপি প্রতিবাদসভা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে দর্শনা পৌর বিএনপির কার্যালয় অনুষ্ঠিত এ প্রতিবাদসভার সভাপতিত্ব করেন পৌর বিএনপির সভাপতি হাজি খন্দকার শওকত আলী। বক্তব্য রাখেন- বিএনপি নেতা আজাহার আলী মাস্টার, নুরু মেম্বার, আমিনুল ইসলাম, তোফাজ্জেল হোসেন, নুরু মিয়া, যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম চঞ্চল, হাসিবুল, শান্ত, মিতুল, বাবু খান, সুলতান আহমেদ, আমাদ আলী, কামরুল, ছাত্রদল নেতা সেলিম মেহফুজ মিল্টন, আব্দুল মান্নান মাস্টার, সাইদুর রহমান, রিয়ার্ড, বাপ্পী, বিজন, মিনারুল, শের আলী প্রমুখ।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, বিরোধীদলকে দমন ও নির্মূল এবং সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের চক্রান্তের প্রতিবাদে মেহেরপুর জেলা বিএনপি শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে তা পুলিশের বাধার মুখে পণ্ড হয়ে যায়। পরে তারা দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ করেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মেহেরপুর জেলা বিএনপির শাহাজীপাড়াস্থ কার্যালয় থেকে জেলা বিএপির একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনছার-উল হকের নেতৃত্বে মিছিলটি কিছুদূর যাওয়ার পর পুলিশ বাধা দিলে তারা দলীয় কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনছার-উল হক, পৌর বিএনপির সম্পাদক আনোয়ারুল হক কালু, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মোখলেছুর রহমান স্বপন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম, সদর থানা যুবদলের সভাপতি হাসিবুজ্জামান স্বপন, সম্পাদক কামরুজ্জামান মুকুল, পৌর যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি আনিসুর রহমান লাবলু, যুগ্ম সম্পাদক ডিএম মকিত, সামছুল আজম লিন্টু, প্রচার সম্পাদক ইমন বিশ্বাস, যুবদল নেতা একরামূল হক একা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. মুস্তাকিম, সিনিয়র সহসভাপতি মীর আলমগীর, ইকবাল আলম প্রমুখ।