চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার উদ্যোগে কৃতী ফুটবলার মামুন হোসেন জোয়ার্দ্দারকে সংবর্ধনা

অশ্রুসিক্ত হয়ে খেলোয়াড়ি জীবনের স্মৃতিচারণ করলেন প্রাক্তন ফুটবলাররা

 

ইসলাম রকিব: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার উদ্যোগে কৃতী ফুটবলার মামুন হোসেন জোয়ার্দ্দারকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার হলরুমে আয়োজিত ওই সংবর্ধনা সভায় সভাপিতত্ব করেন জাতীয় ক্রীড়া সংগঠক চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। প্রাক্তন ফুটবলার রিজুর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত দিয়ে শুরু হওয়া সংবর্ধনা সভায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের সাবেক ম্যানেজার চুয়াডাঙ্গার শতাধিক প্রাক্তন খেলোয়াড়কে সংবর্ধনা সভায় আমন্ত্রণ জানান। যার মধ্যে ছিলো অধিকাংশই ফুটবল খেলোয়াড়। এর মধ্যে ছিলো চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সকল সদস্যবর্গ, নতুন প্রজন্ম, সদ্য অবসরগ্রহণকারী ফুটবলাররা, প্রাক্তন ফুটবলার, আশির দর্শক, ষাটের দশক ও পঞ্চাশের দশকের ফুটবলাররাও উপস্থিত হন মেয়রের আমন্ত্রণে। টাউন ফুটবল মাঠ তথা চুয়াডাঙ্গার ফুটবল অঙ্গন থেকে না ফেরার দেশে চলে যাওয়া প্রয়াত ফুটবলারদের স্মরণে পালন করা হয় এক মিনিটের নীরবতা।

উপস্থিত প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ্যে স্মৃতি চারণমূলক বক্তব্য রাখেন আশরাফ জোয়ার্দ্দার সাবু, ওয়ালিউল্লাহ সিদ্দিক, কবীরুল হোসেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ডিএফএর’র সহসভাপতি মতিয়ার রহমান, সংবর্ধিত অতিথি কৃতী ফুটবলার মামুন হোসেন জোয়ার্দ্দার ও এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। অতিথিদের স্মৃতিচারণের পর কৃতী ফুটবলার মামুন হোসেন জোয়ার্দ্দারকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ক্রীড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা এবং উপহার তুলে দেয়া হয়। এর মধ্যে ছিলো চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়রের সৌজন্যে ব্লেজার, জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে শাল চাদর ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুস সালেহীন লিটনের পক্ষে গিফট। এছাড়া ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন মিতালী সংঘের পক্ষে মহসিন রেজা, চুয়াডাঙ্গা নাইটিঙ্গেল ক্রিকেট একাডেমীর পক্ষে পরিচালক ইসলাম রকিব, চুয়াডাঙ্গা শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের সভাপতি নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের পক্ষে ফুটবল অধিনায়ক সোহেল, জেলা ফুটবল দলের পক্ষে অধিনায়ক মুরাদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদ্য সাবেক ফুটবলারদের পক্ষে আব্দুল মালেক প্রমুখ।

স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য দিতে গিয়ে অশ্র“সিক্ত হয়ে খেলোয়াড়ি জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন প্রাক্তন খেলোয়াড়রা। এ সময় পৌর মেয়র বলেন, আমি ক্রীড়া পাগল মানুষ হিসেবে কখনো কোনো সময় নিজ দেশে ও দেশের বাইরে যদি নিজের পরিচয় দিই, তখন বলি ফুটবলার মামুন জোয়ার্দ্দার আমার ছোট ভাই। চুয়াডাঙ্গার ফুটবল তথা ক্রীড়াঙ্গন আমার প্রতিপত্তি ও সুনামের প্রধান হাতিয়ার। আমি ক্রীড়াঙ্গনের মানুষ না হলে হয়তো এতো সহজে আমি বর্তমানের আমিতে পরিণত হতে পারতাম না। তবে চুয়াডাঙ্গার ক্রীড়াঙ্গনের আকাশ আজ ফিকে হতে চলেছে। এখানে ভালো ক্রীড়া সংগঠকের আজ বড়ই অভাব। তারপরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে। সংর্বধিত অতিথি মামুন হোসেন জোয়ার্দ্দার বলেন, আমি চুয়াডাঙ্গার বাইরে থাকলেও আমার মন পড়ে থাকে এখানে। আমি প্রবাসে থেকেও চুয়াডাঙ্গার ফুটবল তথা ক্রীড়াঙ্গনের খোঁজখবর নিয়ে থাকি। আমার সাধ্যমত আমি ফুটবলের উন্নয়নের জন্য কাজ করবো। সেইসাথে চুয়াডাঙ্গার বিত্তবানদের পাশে দাঁড়ানোরও আহ্বান জানান তিনি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে মামুন হোসেন জোয়ার্দ্দারের সম্মানে চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র নৈশভোজের আয়োজন করেন।