চুয়াডাঙ্গা জোনে তুলো চাষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি

 

মো. শাহাবুদ্দিন: চুয়াডাঙ্গা জোনে চলতি বছরে তুলো চাষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। গত বছর তুলোর কম মূল্য ও ফলন ভালো না হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জোনে চলতি বছরে তুলো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৫ হাজার হেক্টর জমিতে। সেখানে আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ১শ ৪৩ হেক্টর জমিতে। এ থেকে ১০ হাজার ৫শ মেট্রিকটন বীজতুলো ও ২২ হাজার ৫শ বেলতুলো উৎপাদিত হবে।

তুলা উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে চলতি বছরে সিবি-৯ ও হাইব্রিড জাতের রুপালী-১, ডিএম-৩, এসিআই-শুভ্র জাতের তুলোর আবাদ হয়েছে। তবে প্রথম পর্যায়ে তুলোগাছে ফুল ও কুঁড়ি আসার মূহুর্তে তিন দিনের অতি বর্ষণে তুলো ক্ষেতের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। গতবছর এলাকার চাষিরা তুলোর ভালো বীজ বপন করলেও ভালো ফলন হয়নি। এছাড়া দামও পেয়েছিলো কম। এজন্য এ বছর অনেকেই তুলো চাষে আগ্রহ দেখায়নি। অনেক তুলো চাষির অভিমত উন্নত জাতের বীজ ও তুলোর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে পারলে অনেকেই তুলো চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবে। দলকা লক্ষ্মীপুর গ্রামের তুলোচাষি আজিম উদ্দিন জানান, তিনি এ বছর ৫ বিঘা জমিতে আবাদ করেছেন। বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ১২ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় ১০-১২ মণ করে ফলন পাবেন বলে তিনি আশা করছেন, যার বাজার মূল্য ৩০ হাজার টাকা। হেমায়েতপুর গ্রামের তুলোচাষি নুরুন্নবী জানান, তিনি এ বছর ৩ বিঘা জমিতে আবাদ করেছেন। বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। আবহাওয়া ভালো থাকলে ১২-১৪ মণ করে ফলন পাবেন। চুয়াডাঙ্গা জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা এনামুল কবীর জানান, তুলো আবাদ করতে চাষিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা হয়েছে। সকল কর্মকর্তা সবসময় চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে এ বছর তুলোর বাম্পার ফলন হবে।