চুয়াডাঙ্গা গণপূর্ত বিভাগের অফিস সহকারী কাম-মুদ্রাক্ষরিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে চাকরি নেয়াসহ দুর্নীতির অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা গণপূর্ত বিভাগের অফিস সহকারী কাম-মুদ্রাক্ষরিক বিরাট কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ৩৬ বছর বয়সে চাকরি নেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকে পাঠানো এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগসূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, মাগুরা সদর উপজেলার কৃষ্ণবিলা গ্রামের মৃত রাম পদ বিশ্বাসের ছেলে বিরাট কুমার বিশ্বাস মাগুরা একাডেমী থেকে ১৯৮৪ সালে এসএসসি পাস করেন। এসএসসি সনদ অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯৬৮ সালের ২৫ জানুয়ারি। গণপূর্ত বিভাগ ২০০৩ সালের ১৪ অক্টোবর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে বিরাট কুমার বিশ্বাস অফিস সহকারী কাম-মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরির জন্য বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি নিজেই উল্লেখ করেন, ২০০৩ সালের ১ অক্টোবর তার বয়স ৩৫ বছর ৮ মাস ৭ দিন।

বিরাট কুমার সাহা ২০০৩ সালে চাকরির আবেদনে নিজেকে বিভাগীয় প্রার্থী দাবি করেন এবং উল্লেখ করেন যে, ১৯৯৩ সাল থেকে তিনি চুয়াডাঙ্গার গণপূর্ত বিভাগের অধীনে (খণ্ডকালীন মাস্টাররোল)  অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। অথচ দুদকে পাঠানো অভিযোগের সাথে সংযুক্ত কাগজপত্র অনুযায়ী  দেখা গেছে, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং শা-১/৫-৮৫/৬৮৫(১২) অনুযায়ী ১৯৮৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যভিত্তিক ও মাস্টাররোল হিসেবে প্রতিষ্ঠানে লোক নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। অথচ গণপূর্ত বিভাগের স্থানীয় ও ঢাকার কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া তথ্য দিয়ে চাকরিতে প্রবেশ করেন বিরাট কুমার বিশ্বাস।

সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারীর দাবি, বিষয়টি তদন্ত করলে অতিরিক্ত বয়সে চাকরি নেয়াসহ বিরাট কুমার সাহার নানা দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসবে।