চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ পুলিশের সন্ত্রাস বিরোধী যৌথ অভিযান : বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত সন্দেহে গড়াউটুপি ও তিতুদহ ইউনিয়নের ৯ জন গ্রেফতার

 

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের গড়াইটুপি, তিতুদহ, নেহালপুর ইউনিয়ন এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ছিনতাই, ডাকাতি চুরিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। অপরাধীদের সায়েস্তা করতে নড়েচড়ে উঠেছে পুলিশ। এবার চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ পুলিশ সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ অভিযান চালিয়েছে গড়াইটুপি ও তিতুদহ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। রাতভর পুলিশের ঝটিকা অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে ৯ জনকে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে মিলেছে বেশ কিছু তথ্য। তদন্তের স্বার্থে তা গোপন রেখেছে পুলিশ।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ শনিবার রাতভর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ও তিতুদহ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ অভিযান চালিয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি (তদন্ত) আমির আব্বাসের নেতৃত্বে সদর থানার এসআই মাসুদ পারভেজ, তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই লিটন গাজী, সরোজগঞ্জ ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল ইসলাম রেজা, কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বিপ্লব কুমার শাহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ অভিযান চালান গড়াইটুপি ও তিতুদহ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। এ সময় পুলিশ গড়াইটুপি ইউনিয়নের তেঘরি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মানোয়ার হোসন (৪০), মেজ খোকার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩০), আবুল হোসেনের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম (৫৫), আব্দুল মজিদের ছেলে আসাদুল ইসলাম (৩৮), কলাগাছি গ্রামের রজব আলীর ছেলে দুলু (৫০), বিত্তেরদাড়ি গ্রামের নাজিম উদ্দীনের ছেলে আব্দুস সাত্তার (৪২), গবরগাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আলম (৩৫), একই গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে মোস্তফা (৩০), তিতুদহ ইউনিয়নের তিতুদহ গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে জামাল উদ্দীনকে (৪০) নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতদের নিয়ে রাখা হয় চুয়াডাঙ্গা সদর থানা কাস্টডিতে। ওসি (তদন্ত) আমির আব্বাস বলেন, গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন অপরাধমূলোক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারে সে জন্য তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। আজ সোমবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই লিটন গাজী বলেন, সম্প্রতি গড়াইটুপি ও তিতুদহ ইউনিয়নে বিভিন্ন অপরাধ মূলোক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। গ্রেফতাকৃতদের মধ্যে মানোয়ার হচ্ছে মূলহোতা। তাকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সঠিক তথ্য আমরা পেয়ে যাবো। এদেরকে গ্রেফতারের পর এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।