চুয়াডাঙ্গা আমিরপুরের ক্যানালপাড়ার পারিবারিক কবরস্থানের পাঁচিল ভেঙে দেয়ার অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের আমিরপুর ক্যানালপাড়ার ব্যক্তি মালিকানা পারিবারিক কবরস্থানের পাঁচিল ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এলাকাজুড়ে পক্ষে-বিপক্ষে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে বলে সূত্র জানায়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের আমিরপুর গ্রামের মৃত নকিম উদ্দিনের ছেলে আতিয়ার, বদরের ছেলে আশা ও মৃত গফুরের ছেলে তোতা অভিযোগ করে জানান, আমিরপুর ক্যানালপাড়ার আমাদের নিজ মালিকানা জমির ওপর পারিবারিক কবরস্থান অবস্থিত। কিছু দিন আগে কবরস্থানের পাশ দিয়ে ক্যানালপাড়া ও খেজুরতলা গ্রামের লোকজন যাতায়াতের সুবিধার্থে জমির এক পাশ দিয়ে যাতায়াতের রাস্তার জমি দিই। সেখানে ইটের সোলিং রোড করে ইউনিয়ন পরিষদ। ব্যক্তি মালিকানাধীন কবরস্থান রক্ষার্থে গত মঙ্গলবার কবরস্থানটি ইটের পাকা পাঁচিল স্থাপন করা হয়। কিন্তু গত বুধবার বিকেল ৪টার দিকে ব্যক্তিগত আক্রশে সরিষাডাঙ্গা গ্রামের মৃত তোতা জোয়ার্দ্দেরের ছেলে মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দারসহ একই গ্রামের আজিতের ছেলে হারুন, রশিদের ছেলে রানা, ইসলামের ছেলে উজ্জ্বল, ঠাণ্ডুর ছেলে জসিম, মৃত মসলেমের ছেলে হসেন, মৃত হাতেমের ছেলে হাসেম ও রিপন, আমিরপুরের হাফিজুলের ছেলে চান্দু, বোয়ালমারীর আক্তার, কবিখালীর মৃত রমজানের ছেলে ইমানসহ ২৫-৩০ জন মোটরসাইকেলযোগে লাঠিসোঁটা নিয়ে পাঁচিল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। প্রাণভয়ে কেউ সামনে যাইনি। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় আমিরপুর ও সরিষাডাঙ্গা গ্রামের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে অনেকেই জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে আমিরপুর ও খেজুরতলা গ্রামের লোকজন ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছে। কিন্তু গ্রামের মৃত নকিম উদ্দিনের ছেলে আতিয়ার একজন জামায়াত নেতা, সে নামমাত্র কবরস্থান করে জনমানুষের যাতাযাতের রাস্তা ঘিরে দিয়েছে। রাতের অন্ধকারে কে কারা পাঁচিল ভেঙে দিয়েছে আমি জানি না। তবে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক ফয়দা নেয়ার জন্য আমার ও আমার লোকজনের নামে মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেছে।