চুয়াডাঙ্গায় বিয়ের কাবিননামা জালিয়াতির মামলায় নাজমুল হক হীরার জামিন মঞ্জুর

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় বিয়ের কাবিননামা জালিয়াতির মামলায় পাঁচ আসামির মধ্যে নাজমুল হক হীরা নামে এক ব্যক্তির জামিনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১’র বিচারক জেলা ও দায়রা জজ বিপ্লব গোস্বামী এ আদেশ দেন।

গত ৩১ জুলাই চুয়াডাঙ্গায় বিয়ের কাবিননামা জালিয়াতির ঘটনায় কারাগারে পাঠানো ওই পাঁচজন হলেন- মামলার এজাহারভুক্ত ১ নং আসামি বাদীর স্বামী সদর উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের হাবিবুর রহমান (২৫), চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ২ নং ওয়ার্ডের বিবাহ নিবন্ধক পলাশপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম কাজি নাসির উদ্দিন (৪০) এবং তার তিন সহযোগী আরামপাড়ার নাজমুল হক হীরা (৪৭), পলাশপাড়ার আকরাম হোসেন ওরফে আকরাম কাজী (৪২) ও তার শ্যালক আব্দুল হালিম (৩৫)।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের শিপন আলীর মেয়ে শিরিনা খাতুন (২০) গত এপ্রিল মাসে বাদী হয়ে স্বামী হাবিবুর রহমানকে ১ নং আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০, সংশোধন (২০০৩)’র ১১(গ)/৩০ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে চুয়াডাঙ্গার নারী-শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

সাবেক সরকারি কৌসুলি (পিপি) আলমগীর হোসেন জানান, মামলার বাদী আদালতে বিবাহ নিবন্ধকের সিল ও স্বাক্ষর সংবলিত বিয়ের কাবিননামা আদালতে জমা দিলেও প্রধান আসামি হাবিবুর রহমান তা অস্বীকার করেন। আদালত জানতে পারেন, চুয়াডাঙ্গার আরামপাড়ার নাজমুল হক হীরা বিবাহ নিবন্ধক নাসির উদ্দিন ও সহযোগী আকরাম হোসেনের উপস্থিতিতে মেয়েটির বিয়ে পড়িয়েছেন এবং আব্দুল হালিম কাবিননামা লিখেছেন। কিন্তু আসামিপক্ষের কাছে সুবিধা নিয়ে তারা চারজন সঙ্ঘবদ্ধভাবে নিকাহ নিবন্ধন বই থেকে পাতাটি সরিয়ে ফেলেন।

মামলার ধার্য দিনে গত ৩১ জুলাই বিবাহ নিবন্ধক ও তার তিন সহযোগী এবং আসামি হাবিবুর রহমান আদালতে হাজির হলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১’র বিচারক জেলা ও দায়রা জজ বিপ্লব গোস্বামী তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই সাথে সদর থানার ওসিকে সংঘবদ্ধ এ চক্রের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী মামলার নির্দেশ দেন।