চুয়াডাঙ্গায় বিআরটিএ বিল কালেশন বুথে শিগগিরই টাকা জমা নেবে এনআরবি ব্যাংক

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয় ভবনের দোতলায় বিআরটিএর গ্রাহকদের টাকা জমা নিতে এনআরবি ব্যাংকের বুথ চালু হচ্ছে। গতকাল রোববার ভবনের দোতলায় ব্যাংকের সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে। এ খবরে পরিবহন মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের দীর্ঘদিনের দুশ্চিন্তার অবসান হতে চলেছে।

চুয়াডাঙ্গা দেশের মধ্যে মোটরসাইকেলের সবচেয়ে বড় মার্কেট। বিআরটিএ’র টাকা জমা নেয়ার কোনো ব্যাংকের শাখা না থাকায় বিপাকে পড়ে মোটরসাইকেল মালিকরা। মালিকরা দীর্ঘদিন যাবত ব্যাংকের শাখা খোলার দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ ছিলো উদাসীন। ফলে, মোটরসাইকেল মালিকরা প্রতিকার না পেয়ে নিকটবর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে রেজিস্ট্রেশনের জন্য টাকা জমা দিতে হতো।

প্রতিটি ১০০ সিসি ও জ্বালানী ব্যতিত মোটরসাইকেলের ওজন ৯০ কেজি পর্যন্ত বিদ্যমান পদ্ধতি রেজিস্ট্রেশন ফি ও অন্যান্য ৮ হাজার ১৬৩ টাকা এবং সড়ক কর ৫ হাজার ৭৫০ টাকা সর্বমোট ১৩ হাজার ৯১৩ টাকা জমা দিতে হয়। বর্তমানে পরিবর্তিত পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন ফি ও অন্যান্য (এককালীন) ৮ হাজার ১৬৩ টাকা এবং সড়ক কর (প্রথম কিস্তি) ১ হাজার ১৫০ সর্বমোট ৯ হাজার ৩১৩ টাকা জমা দিতে হবে। এরপর প্রতি ২ বছর অন্তর অন্তর পরবর্তী ৮ বছরে কিস্তি প্রতি ১ হাজার ১৫০ হারে ৪টি সমান কিস্তিতে ৪ হাজার ৬০০ টাকা জমা দিতে হবে।

প্রতিটি ১০০ সিসির উর্দ্ধে ও জ্বালানী ব্যতিত মোটরসাইকেলের ওজন ৯০ কেজির উর্দ্ধে বিদ্যমান পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন ফি ও অন্যান্য ৯ হাজার ৭৭৩ এবং সড়ক কর ১১ হাজার ৫শ টাকা অর্থাৎ ২১ হাজার ২৭৩ টাকা জমা দিতে হতো। বর্তমানে পরিবর্তীত পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন ফি ও অন্যান্য (এককালীন) ৯ হাজার ৭৭৩ এবং সড়ক কর (প্রথম কিস্তি) ২ হাজার ৩শ সর্বমোট ১২ হাজার ৭৩ টাকা জমা দিতে হবে। এরপর প্রতি ২ বছর অন্তর অন্তর পরবর্তী ৮ বছরে কিস্তি প্রতি ২ হাজার ৩শ টাকা ৪টি সমান কিস্তিতে জমা দিতে হবে।

মোটরসাইকেল মালিকরা অভিযোগ করে বলেন, গত বছরের ১৫ নভেম্বর থেকে চুয়াডাঙ্গায় ইউসিবিএল শাখা হঠাত করে বিআরটিএ’র টাকা জমা নেয়া বন্ধ করে দেয়। সেই থেকে মানুষের ভোগান্তি শুরু হয়।

চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ’র কার্যালয়ের পরিদর্শক এসএম সবুজ জানান, গত ২৯ মে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে নেপাল রাষ্ট্রিয় ব্যাংক (এনআরবি)’র প্রতিনিধিরা দেখা করেন। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দোতলায় পোষ্ট অফিসের সামনের ঘরটিতে ব্যাংকের শাখা চালু করতে টেকনিক্যাল বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে। শিগগিরই ব্যাংক চালু হবে বলে আশা করছি।

প্রসঙ্গত: গত ১৮ মে থেকে পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগ একযোগে মোটরসাইকেলের মালিকদের ওপর সাঁড়াশি অভিযান চালায়। এ সময় জেলার বিভিন্ন সড়ক থেকে নম্বরবিহীন শত শত মোটরসাইকেল জব্দ করে চার থানা চত্বর, পুলিশ ক্যাম্প ও  পুলিশ লাইনে খোলা আকাশের নীচে জমা করে রাখে। খোলা আকাশের নীচে থাকায় মোটরসাইকেলগুলো নষ্ট হতে চলেছে। শুধু মোটরসাইকেল মালিক নয় সমস্যায় পড়ে বাস, ট্র্যাক, মাইক্রো, প্রাইভেট কার ও সরকারি দফতরের যানবাহনসহ কয়েক হাজার গাড়ীর মালিকরা।