চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের দু কর্মকর্তাসহ তিন বাড়িতে চুরি

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার অ্যাডিশনাল এসপি, এক এএসআই এবং এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাসায় দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে শহরের এতিমখানাপাড়া ও সরকারি মহিলা কলেজপাড়ায় এসব চুরির ঘটনা ঘটেছে। ওই চুরির ঘটনায় পৌর এলাকার বাসিন্দারা চোর আতঙ্কে ভুগছে।

অ্যাডিশনাল এসপি গোলাম বেনজীর জানান, চোরের দল সীমানা পাঁচিল পার হয়ে ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার এতিমখানা রোডের ভাড়াবাসার নিচতলায় ঢুকে বারান্দা থেকে পোশাকআশাক চুরি করে। এছাড়া অন্য একটি কক্ষের তালা ভেঙে দুটি বাইসাইকেল ও পোশাক চুরি করে নিয়ে যায়। বিষয়টি তিনি সকালেই পুলিশ সুপার রশীদুল হাসানকে অবগত করেন। এ খবর জানার পর গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে চারটায় সদর থানার এসআই পিয়ার আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

একই রাতে শহরের সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজপাড়ায় সদর থানার এএসআই ওহিদুল ইসলামের ভাড়ার বাসায় চুরি হয়। ওহিদুল জানান, তার স্ত্রী-সন্তানেরা গ্রামের বাড়িতে রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে তিনি টহল দায়িত্বে ছিলেন। এ সময় চোরেরা বাসার প্রধান দরজার তালা ভেঙে নগদ ১০ হাজার টাকা এবং একটি ২৪ ইঞ্চি এলইডি টেলিভিশন ও জামা-কাপড় চুরি করে। গতকাল শনিবার সকালে বাসায় ফিরে তিনি এসব দেখেন। বাসার মালিক ব্যাংক কর্মকর্তা শামসুজ্জামান লিল্টু জানান, দোতলা বাড়ির নিচতলায় ভাড়াটে এবং দোতলায় তিনি সপরিবারে বসবাস করেন। চোরেরা কখন প্রবেশ করেছে তা কেউই টের পায়নি।

একই রাতে সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজপাড়ার সাবেক সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা হোসেন আলীর বাড়ির গ্রিল কেটে চোরেরা ভেতরে ঢোকে এবং নির্বিঘ্নে চুরি করে চলে যায়। চোরেরা ১২ ভরি সোনার অলঙ্কার ও নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার পলাশপাড়া-সবুজপাড়া চুরি প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, বিগত আট মাস ধরে এলাকায় রাতপাহারার ব্যবস্থা ছিলো। তখন কোনো চুরির ঘটনা ঘটেনি। পয়লা রমজান থেকে পাহারা স্থগিত করায় একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে জানানো হবে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেন জানান, পুলিশ কর্মকর্তাদের দুটি বাসায় চুরির বিষয়টি জেনেছেন। তবে কেউই লিখিত অভিযোগ করেনি।