চুয়াডাঙ্গায় জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভায় এডিএম মনিরা পারভীন – পুষ্টিসমৃদ্ধ জাতি গঠন একার পক্ষে সম্ভব নয়

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুুষ্ঠিত হয়। সভায় ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত পুষ্টি সমন্বয় কমিটির বহুখাত ভিত্তিক বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা ও অগ্রগতি বিষয়ে সভায় অবহিত করা হয়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মনিরা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জেলার সিভিল সার্জন ও সদস্য সচিব ডা. এএসএম মারুফ হাসান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার সাহা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কৃষি প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইব্রাহিম হামিদ শাহিন, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.এএইচএম শামীমুজ্জামান, জেলা তথ্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উপ-পরিচালক আব্দুল আওয়াল, সমাজসেবার উপ-পরিচালক সন্তোষ কুমার নাথ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মাহমুদা সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম আব্দুর রহমান, জেলা সমবায় কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি মল্লিক, পৌরসভার প্রতিনিধি নার্গিস জাহান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (এমওসিএস) ডা. আওলিয়ার রহমান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার পক্ষে ডা. শামীমা ইয়াসমিন, আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার পক্ষে ডা. মো. মোর্তুজা আরেফিন, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার পক্ষে ডা. পার্থ সারথী পাল, কেয়ার বাংলাদেশের সিডিএম হোসনেয়ারা বেগম, সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, শাহ আলম সনি ও জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর গোলাম ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন বলেন, পুষ্টিসমৃদ্ধ জাতি গঠন একার পক্ষে সম্ভব নয়। সবার সমন্বিত চেষ্টায় সম্ভব হবে। শ্রমজীবী দুগ্ধদানকারী মায়েদের প্রশিক্ষণে ২৫০০ করার কথা থাকলে এ পর্যন্ত ২০০ এ হিসাবটা খুবই কম। সংখ্যা বাড়াতে হবে। কাগজে কলমে না করে বাস্তবে করতে হবে। অগ্রগতির অবস্থা খারাপ। উপজেলা পর্যায়ে আলমডাঙ্গার পর জীবননগর উপজেলার পুষ্টি বিষয়ে প্রেজেন্টেশন দেখা হবে।
জেলার সিভিল সার্জন ডা.এএসএম মারুফ হাসান বলেন, অনেকগুলো কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। সদর হাসপাতালের দোতলায় ব্রেস্ট ফিডার কার্যক্রম স্থাপন করা হচ্ছে। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ব্রেস্টফিডিং ও কিশোরী বান্ধব কর্ণার স্থাপন করতে হবে। খাদ্যের মাধ্যমে ভিটামিন পেতে পারি। আয়রন সমৃদ্ধ খাদ্য দিতে হবে। স্কুল-কলেজ পর্যায়ে আলোচনা করতে হবে। পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য খাদ্য খাবো। ফার্স্টফুড ও ড্রিংকস খাওয়া যাবে না। এটা বুঝাতে হবে। পানি ও শাক খাওয়ার ব্যাপারে বলতে হবে। ডাল, সীম, মটরশুটি ও বাদাম খেতে হবে। প্রাণিজ প্রোটিন ডিম ও দুধ খাওয়া যাবে। সকল কমিউনিটি ক্লিনিকে আয়রণ ট্যাবলেট পাওয়া যাবে। ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নারীরা আয়রন ট্যাবলেট খেতে পারবে। আগামী ১১ জানুয়ারি ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ছয় মাস বয়সী থেকে ৫ বছর বয়সী পর্যন্ত শিশুদের এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে। অসুস্থ শিশুদের পরে খাওয়ানো হবে।