চুয়াডাঙ্গায় গুটি ইউরিয়ার ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার: ‘সব ধরনের চাষাবাদেই গুটি ইউরিয়া ব্যবহার করা যায়। গুটি ইউরিয়া ব্যবহারে সার কম লাগে। ফলনও ভাল হয়। এজন্য গুটি ইউরিয়া ব্যবহার কৃষককে আরও বেশি লাভবান করছে।’ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুর গুটি ইউরিয়ার ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্রিকেট মেশিন মালিকদের প্রশিক্ষণ ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে কৃষক গুটি ইউরিয়া কিনতে গিয়ে না পেয়ে গুড়া ইউরিয়া কেনেন। যারা গুটি ইউরিয়া উৎপাদন করেন তাদেরকেই এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। গুটি ইউরিয়া কিনতে গিয়ে কৃষককে যাতে ফিরে আসতে না হয়। তাহলেই কৃষিক্ষেত্রে দেশ আরও বেশি এগিয়ে যাবে।’ চুয়াডাঙ্গা চেম্বার ভবনে সোমবার দিনব্যাপি এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুর। সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলার সরোজগঞ্জের ব্রিকেট মেশিন মালিক মজিবর রহমান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইএফডিসির এভিপিআই প্রকল্পের ব্যবস্থাপক সৈয়দ আফজাল মাহমুদ হোসেন, সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আফরিন বিনতে আজিজ, শারমিন আক্তার, যশোরের মাঠ সমন্বয়কারী মীর আব্দুল মান্নান ও শরিফুল আলম মনি। কর্মশালায় চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর জেলার অর্ধশতাধিক মেশিন মালিক অংশগ্রহণ করেন। ওয়ালমার্ট ফাউন্ডশনের ‘সবজি উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণ’ প্রকল্পের আওতায় কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে সহযোগিতা করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফিল্ড মনিটরিং অফিসার মো. আলমগীর রশিদ।
এদিকে, একই বিষয়ে গত রোববার সকালে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার রোয়াকুলি গ্রামে শস্য কর্তন ও মাঠদিবস অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় গুটি ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বায়োটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাসিবুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকল্পের মাঠ সমন্বয়কারী কৃষিবিদ মীর আব্দুল মান্নান ও কৃষিবিদ শরিফুল আলম। অনুষ্ঠানে কৃষাণি পিঞ্জিরা খাতুন ও কৃষক আসলাম আলী গুটি ইউরিয়ার উপকারীতার কথা উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন।