চুয়াডাঙ্গায় অজ্ঞান পার্টির অপতৎপতরা আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি – দুটি বাসের দু যাত্রীকে নামিয়ে দেয়া হলো ডুগডুগি

 

আহসান আলম: শুধু দূরপাল্লার বাস বা  ট্রেনে নয়, চুয়াডাঙ্গার আভ্যন্তরীণ সড়কের বাসগুলোতেও অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা ব্যপকভাবে অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে পশুহাটগুলোকে কেন্দ্র করেই অজ্ঞান পার্টির উৎপাত বৃদ্ধির বিষয়টি দিন দিন স্পষ্ট হচ্ছে। গতকালও পৃথক দুটি বাস থেকে অল্প সময়ের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার ডুগডুগি পশুহাটে অজ্ঞান দুজনকে নামিয়ে দিয়েছে বাসের হেল্পার সুপারভাইজার। পরে দুজনকেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়েছে।

অজ্ঞান দুজনের একজন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খাপুরন্দপুরের ভূষিমাল ব্যবসায়ী সোলায়মান (৩৪) ও অপরজন চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের শাখারিয়া গ্রামের মিলন। সোলায়মান কালীগঞ্জে ভূষিমাল বিক্রি করা ৪১ হাজার টাকা নিয়ে ফেরা পথে শাপলা এক্সপ্রেসের একটি বাসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে। দুপুর দেড়টার দিকে তাকে দামুড়হুদার ডুগডুগি পশুহাটে অজ্ঞান অবস্থায় বাস থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। মিলন জীবননগর থেকে বাসে ওঠে পশুহাট ডুগডুগির পশুহাটের উদ্দেশে রওনা হয়ে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন। তিনি ঠিক কতো টাকা নিয়ে পশুহাটের উদ্দেশে বের হয়ে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন তা নিশ্চিত করে জানা সম্ভব হয়নি। মিলন একজন গ্রামপুলিশ। তিনি জীবননগর শাখারিয়া গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে।

জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন সড়কের বাসে ও হাটবাজারে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বহু মানুষ এদের খপ্পরে পড়ে অজ্ঞান হয়ে নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল হারিয়েছে। যে হারে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে, সে মত পুলিশি তৎপরতা নেই। ফলে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের অপকর্ম বেড়েই চলেছে। এরকমই মন্তব্য করে অনেকেই বলেছেন, সোর্স নিয়োগের পাশাপাশি ছদ্মবেশে অজ্ঞান পার্টির সদস্য ধরতে পুলিশি তৎপরতা জোরদারকার খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। অন্যথায় কেউই রাস্তায় বেরিয়ে সুহালে বাড়ি ফেরার নূন্যতম নিশ্চয়তা পাবে না। যেমন সুহালে বাড়ি ফিরতে না পেরে গতকাল টাকা হারিয়ে হাসপাতালে অনিশ্চয়তার প্রহর গুনছেন খাপুরন্দপুরের ভুষিমাল ব্যবসায়ী সোলায়মান। তার পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, মুগ ও কলাই ডাল নিয়ে কালীগঞ্জে বিক্রি করেন। ৪১ হাজার টাকা নিয়ে তিনি শাপলা এক্সপ্রেসের একটি বাসে ওঠেন। ডুগডুগি পশুহাটে বাসের সুপারভাইজার অজ্ঞান অবস্থায় নামিয়ে দেন। তার কাছে থাকা মোবাইলফোনের মাধ্যমে বাড়িতে খবর দেয়। বাড়ির লোকজন দ্রুত ছুটে আসেন। অপরদিকে পশুহাটের কয়েকজন পরিচিত ব্যক্তি তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সোলায়মান সংজ্ঞাহীন অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। অপরদিকে শাখারিয়ার গ্রাম পুলিশ মিলনকেও আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেছেন, দুজনেরই শারীরিক অবস্থার বেশ উন্নতি হয়েছে।