চুয়াডাঙ্গার মানিকদিহিতে বিষ দেয়া ঘাস খেয়ে গাভী গরুর মৃত্যু : ক্ষতিপূরণ দাবি

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: আম বাগানে জন্মানো লতাপাতা ও ঘাস কেটে খাওয়ানোর পর ডিঙ্গেদহ মানিকদিহির আকবার আলী বিশ্বাসের ছেলে কৃষক আমজাদ হোসেনের ৭ মাসের গাভীন ১টি গাভী মারা গেছে। আহত অবস্থার মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আরও দুটি গরুর বাছুর। এ ব্যপারে দরিদ্র্র কৃষক আমজাদ হোসেন বলেন, গাভী ও গরু পালন করেন। দুটি গাভীতে প্রতিদিন ১৩/১৪কেজি করে দুধ দেয়। যা বিক্রি করে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচসহ সংসার পরিচালনা করেন। গত ৬ জুলাই শনিবার বিকেলে প্রতিবেশী আজম ম-লের ছেলে কুতুব আলীকে জিজ্ঞাসা করি তার আম বাগানে কোনো বিষ দেয়া হয়েছে কি-না। এ সময় কুতুব বলেন আম বাগানে কোনো বিষ দেয়া হয়নি। এর পর বিকেল ৪টার দিকে কুতুব আলীর বাড়ির পাশের পান্তার মাঠের আমবাগান থেকে লতাপাতা ও ঘাস কেটে এনে পরের দিন রোববার সকালে গরুকে ওই ঘাস খেতে দিই। ঘাস খাওয়ার পর থেকেই গরুর মুখ দিয়ে গাজা বাহির হতে থাকে। সন্দেহ হলে কুতুব আলীর আম বাগানে গিয়ে দেখি বাগানের সব ঘাস মরা দেখে কুতুব আলীকে পুণরায় জিজ্ঞাসা করি আপনি কি বাগানে ঘাস মারা ওষুধ দিয়েছেন? তখন কুতুব আলী স্বীকার করেন সম্ভবত আমার ছেলে বিষ দিয়ে থাকতে পারে। গরুর অবস্থা খারাপ দেখে দ্রুতভাবে গরুর ডাক্তার ডেকে ওষুধ নিয়ে গরুকে খাওয়ায়। কিšুÍ কোনো ফল হয়নি গত পরশু রোববার রাত ১২টার দিকে তার ৭ মাসের গাভীন গাভী গরুটি মৃত্যুর কোলে ঢুলে পড়ে। যার আনুমানিক মুল্য ৮০ হাজার টাকা। আরও দুটি বাছুর গরু মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আয়ের একমাত্র সম্বল গাভী গরুটি নিয়ে অথই সাগরে পড়েছে কৃষক আমজাদ আলী। এখন কিভাবে তার সংসার চালাবে ও কিভাবে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ জোগাবে?