চুয়াডাঙ্গার বড়সলুয়া গ্রামে জুয়োখেলাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ : আহত ৩ : আটক ১

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার বড়সলুয়া গ্রামের বিভিন্ন মাঠে দীর্ঘদিন থেকে জুয়োখেলা চলে আসছে। এ নিয়ে গ্রামবাসী বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। জুয়ো খেলাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। এতে ৩ জন জখম হয়। আহত একজনকে ঢাকায় রেফার করা হয়। অপরদিকে গ্রামবাসী মালেক নামের একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

গ্রামবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বড়সলুয়া গ্রামের বিভিন্ন মাঠে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসে জমজমাট জুয়োর আসর। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী গ্রামের মাঠে জুয়োর আসর বসলে আলী হোসেনের ছেলে লিটন প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে একই গ্রামের কেতু নশকরের ছেলে সোহেল, আনছার আলীর ছেলে বিপুল, বাদশা ও মালেক এবং কিতাব আলী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আলী হোসেন ও তার দু ছেলে লিটন ও শিলনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে লিটন ও শিলন রক্তাক্ত জখম হয়। আহতেদের উদ্ধার করে রাতেই নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। লিটনের আঘাত বেশি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফার করেন। অপরদিকে সোহেলদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পাটের জমিতে পায়খানা করাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে ঘটনার সময় গ্রামবাসী আনছার আলীর এক ছেলে মালেককে আটক করে তিতুদহ পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করে আরও জানায়, দীর্ঘদিন থেকে বড়সলুয়া গ্রামের ইলিয়াস ও হাসিবুল মোল্লা, বলদিয়া গ্রামের শাহাবদ্দীন, নায়েব আলী, জাকির মেম্বার গ্রামের বিভিন্ন মাঠে বিশেষ ব্যবস্থায় জুয়োর আসর পরিচালনা করে আসছে। যেখানে হারজিত হয় লাখ লাখ টাকা। আর এসব জুয়োর আসরে উঠতি বয়সী যুবকেরা অংশ নিয়ে হচ্ছে সর্বশান্ত। ফলে এলাকায় বাড়ছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। বিষয়টি প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে জানিয়েও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। আর প্রতিবাদ করতে গিয়ে ঘটলো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জুয়োর বোর্ড পরিচালনাকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য এলাকাবাসী পুলিশ সুপারের নিকট দাবি জানিয়েছে।