চুয়াডাঙ্গার ফার্মপাড়ার গলায় ফাঁস দিয়ে যুবক রাজুর আত্মহত্যা

সুরোতহাল রিপোর্টের সময় মৃত দেহ থেকে উদ্ধার হলো একটি চিরকুট

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার দিনমজুর রাজু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ৫টায় তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রাজু নিজেই মৃত্যুর আগে একটি চিরকুট লিখে মৃত্যুর জন্য তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যসহ মামুন, রতন ও বাবুর পরিবারকে দায়ী করে গেছেন। পুলিশ তার লেখা চিরকুটটি উদ্ধার করেছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের ফার্মপাড়ার স্কুল সংলগ্ন এলাকার মৃত শাহজাহানের ছেলে রাজু আহমেদ (২৭) বিএডিসির একজন অনিয়মিত শ্রমিক। তিনি একাধিক বিয়ের কারণে সাংসারিক ঝামেলায় ছিলেন। এলাকার অনেকেই বলেছেন, রাজু প্রথমে চুয়াডাঙ্গার নূরনগর কলোনিপাড়ার সিনথিয়াকে বিয়ে করেন। সে পক্ষের ৭ বছর বয়সী একটি ছেলে আছে। পরে তাকে তালাক দিয়ে কুষ্টিয়ার আমলায় জোছনা খাতুনের সাথে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তাকেও সম্প্রতি তালাক দিয়ে আবার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সাথে বিয়ে করেন সপ্তাহখানেক আগে। দিনতিনেক আগে তাকেও মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন রাজু। এরই মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার তার নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় রাজুকে ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের ডা. রাজিবুল ইসলাম তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ রাজুর মৃত দেহের সুরোতহাল রিপোর্ট তৈরির সময় তার কোমরের লুঙ্গির ভাঁজ থেকে লাল কালি দিয়ে লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যার আগে রাজু ওই চিরকুটটি লিখে রেখে গেছেন। তাতে রাজু লিখেছেন তার মৃত্যুর কারণ স্ত্রী সিনথিয়া, আমার চাচা চাচি ও চাচাতো ভাই। এছাড়া বাবুর পরিবার, রতনের পরিবার এর সাথে জড়িত। তবে রতন ও বাবুর পরিবারের বিষয়ে কোনো কিছু জানা যায়নি। তাছাড়া এই চিরকুট যে রাজুরই লেখা ত নিশ্চিত করা যায়নি। এটি পরিকল্পিতভাবে অন্য কেউ লিখেছে কি না তাও জানা যায়নি। আজ রাজুর লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে বলে হাসপাতালসূত্রে জানা গেছে।