চুয়াডাঙ্গার পদ্মবিলায় মতবিনিময়সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার

 

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: ইভটিজিং একটি সামাজিক ব্যধি। এর ফলে একদিকে যেমন বাল্যবিয়ের হার বেড়ে নারী অগ্রগতিতে বাধাগ্রস্ত হয়। অপরদিকে নারীদের আত্মহত্যার হার বৃদ্ধি পায়। যারা রাস্তাঘাটে ইভটিজিং করে তারা সমাজের কারো সন্তান, কারো ভাই। তাই সমাজ থেকে ইভটিজিং বন্ধ করতে অভিভাবকদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামান এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। অবিভাবকরা তাদের মেয়েদেরকে বোঝা মনে করে লেখাপড়া না শিখিয়ে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেন। এর ফলে জনসংখ্যার হার, বহুবিয়ে, তালাক ও মাতৃমৃত্যুর হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মনে রাখতে হবে ছেলে-মেয়েদের আদর্শ শিক্ষক মা। মা শিক্ষিত হলে ছেলে-মেয়েরা শিক্ষিত হবে। কিছু অসৎ মানুষ শরিক ফাঁকি দেয়ার জন্য মিথ্যা ওয়ারিশ সার্টিফিকেট নেয়। এজন্য ওয়ারিশ সার্টিফিকেট দেয়ার জন্য সতর্কতা অবলম্বনের জন্য চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেন। পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের মণ্ডলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপজেলা সহকারী পরিবার পরিকল্পনা অফিসার তরুণ কান্তি দাস ও সমাজসেবক সিদ্দিকুর রহমান। বক্তব্য রাখেন উপসহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. রাশেদ আহাম্মেদ, ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম, রবিউল হক, জালাল উদ্দিন, খালেদা বেগম, নফরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হানেফ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, সমাজ সেবক সালাউদ্দিন, আবুল কাশেম, আনোয়ার হোসেন, বাবুল, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন, কাজী আলী নুর প্রমুখ।