চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ও গড়াইটুপি ইউপি নির্বাচনে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ জামায়াত প্রার্থী নিয়ে

 

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ও নবগঠিত গড়াইটুপি ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। তিতুদহ ইউনিয়নে বিএনপির একাধিক প্রার্থী রয়েছে। গড়াইটুপিতে বিএনপির একক প্রার্থী থাকলেও মাথা ব্যাথার কারণ জামায়াতের একক প্রার্থী। তবে নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে এলে তিতুদহ ও নবগঠিত গড়াইটুপি ইউপি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

আদালতে রিট থাকায় নির্বাচন নিয়ে নানা কৌতুহল ছিলো চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পুনর্গঠিত তিতুদহ ইউনিয়ন এবং নবগঠিত গড়াইটুপি ইউনিয়নবাসীর মধ্যে। রিটকারী অজ্ঞাত কারণে রিট তুলে নেয়ায় সে বাধা দূর হয়েছে। ফলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে আইনগত বাধা কিছুটা পরিষ্কার হয়েছে। এখন নির্বাচন কমিশন ইউনিয়ন দুটির সীমানা নির্ধারণ এবং ওয়ার্ডভিত্তিক ভোটার তালিকা প্রস্তুত করতে পারলেই দ্রুত তফসিল ঘোষণা করতে পারবে। তবে ইউনিয়ন দুটিতে নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঠিক না হলেও দলীয় মনোনয়ন পেতে বিএনপির একাধিক প্রার্থী জোরেসোরে তাদের প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর নীতিনির্ধারণীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।

আগামী ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে তিতুদহ এবং নবগঠিত গড়াইটুপি ইউনিয়ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, তিতুদহ ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী তালিকায় যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিজলগাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাসুদ রানা ও তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক আবুল হাশেম টোটন। এখানে জামায়াতের কোনো প্রার্থী না থাকায় সমন্বয়ের মাধ্যমে বিএনপির একক প্রার্থী ঘোষণা করা খুব একটা কঠিন কাজ হবে না নীতিনির্ধারণীদের।

অপরদিকে নবগঠিত গড়াইটুপি ইউনিয়নে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বর্তমান চেয়ারম্যান আকতার হোসেন। এ ইউনিয়নে বিএনপির কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলেও জামায়াতের প্রার্থী হিসাবে মাঠে আছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আমির রেজাউল করিম। এখানে জামায়াতের প্রার্থী থাকায় বিএনপির মাথা ব্যাথার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি পৌর নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতের সাথে বিএনপির সমঝতা না হওয়ায় পৌর নির্বাচনে জামায়াত অনেক জায়গায় একক প্রার্থী দিয়েছিলো। যা চুয়াডাঙ্গা জেলায় পৌর নির্বাচনে ক্ষেত্রে দেখা গেছে। যদিও জামায়াত দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভিন্ন প্রতীকে তারা নির্বাচন করেছে। ইউনিয়ন দুটিতে আ.লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কাজে লাগিয়ে বিএনপি যে সুবিধা পাওয়ার কথা ছিলো তা হবে না বলে মনে করছে বিএনপি সমর্থিত নেতাকর্মীরা।

এদিকে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হলে ইউনিয়ন দুটিতে বিএনপির প্রার্থী সংখ্যা বাড়তে পারে বলে এমনও আভাস পাওয়া গেছে। সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় নির্বাচনের দলের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে বিজয়ের ব্যাপারে কেউ শতভাগ আশাবাদী হতে পারে না। কারণ স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থীর যোগ্যতা, সামাজিক কর্মকাণ্ড অবদান এবং প্রার্থীর আচরণগত দিকটি বিচার বিশ্লেষণ করে ভোটররা ভোট দিয়ে থাকেন। এখন দেখার বিষয় গড়াইটুপি ইউনিয়নে জামায়াতের সাথে সমঝোতা করে বিএনপি তাদের মাথাব্যথার কারণ দূর করতে পারে কি-না?