চুয়াডাঙ্গার তিতুদহে কর্মসৃজন কাজে অনিয়ম

নির্িষ্ট দিনে মজি পানি অনেক শ্রমিক

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ ইউনিয়নে কর্মসৃজন কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ট্যাগ অফিসার সরেজমিনে তদন্ত করে অনিয়মের সত্যতা মেলায় বিলের কাগজে স্বাক্ষর করেননি। ফলে গত সপ্তায় কাজের টাকা তুলতে পারেননি অনেক শ্রমিক। প্রকল্প পিআইএসদের অনিয়মের বলি হতদরিদ্র শ্রমিকেরা।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নে কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় ২৮৫ জন হতদরিদ্র মানুষ এ কাজ পান। আর এ কাজের বিনিময়ে প্রতিদিনের হাজিরা পান ২শ টাকা করে। সপ্তায় বৃহস্পতিবার শ্রমিকরা টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে উত্তোলন করে থাকেন। তিতুদহ ইউনিয়নের কাজ দেখভাল করার দায়িত্বে রয়েছেন পল্লি সঞ্চয় ব্যাংকের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী (ট্যাগ অফিসার) আবু হাসনাত শাহরিয়ারের ওপর। তিনি গত সোমবার কাজ দেখতে গিয়ে দেখেন প্রকল্প পিআইএস মনি মেম্বারের ৬টি লেবার, সোরাফ মেম্বারের ৬টি লেবার এবং মহিলা মেম্বার মৌসুমীর লেবার দুপুর ১২টার আগেই চলে গেছেন। কাজের নিয়ম হচ্ছে সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এছাড়াও বরাদ্দকৃত লেবারের মধ্যে মহিলা লেবার থাকতে হবে শতকরা ৩৩ ভাগ। যা কোনো পিআইএসই মহিলাদের কোটা পূরণ করেননি। সরেজমিনে ট্যাগ অফিসার এ অনিয়ম প্রকল্প পিআইসিদের নিকট থেকে কোনো সদুত্তর না পাওয়ায় তিনি বিলে স্বাক্ষর করেননি। ফলে ওই ৩টি প্রকল্পের শ্রমিকেরা গত বৃহস্পতিবার তাদের মজুরির টাকা তুলতে পারেননি।

অভিযোগ উঠেছে, প্রকল্প পিআইসিরা অনিয়মের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার যে পাঁয়তারা করছিলো তা ট্যাগ অফিসারের নিকট ধরা পড়ে গেছে। পিআইসদের দুর্নীতির কারণে শ্রমিকেরা তাদের সময়মতো মজুরি না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এছাড়াও প্রতিটি পিআইএসদের লেবার নিয়মনীতির বাইরে আছে। অতিদরিদ্র লোকজনের চাইতে সচ্ছল ব্যক্তিরাই নাম লিখিয়ে সপ্তায় সপ্তায় বিল তুলে পেট ভরাচ্ছেন। এ বিষয়ে ট্যাগ অফিসার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অনিয়ম হওয়ায় বিলে স্বাক্ষর করা হয়নি। ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটা প্রকল্প পিআইএসরা ঠিক করেননি। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।