চুয়াডাঙ্গার গিরীশনগরে শত বছরের কবরস্থানের জায়গা দখল নিতে পাকা কবর ভাঙচুর : গ্রামবাসীর প্রতিরোধ

 

বেগমপুর প্রতিনিধি: তিতুদহের গিরীশনগর গ্রামে শত বছরের কবর স্থানের জায়গা দখল নিতে পাকা কবর ভেঙে ফেলেছে গ্রামের আজম ড্রাইভার ও তার লোকজন। পুনরায় ভাঙতে গেলে প্রতিরোধ গড়ে তোলে প্রামবাসী। বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ উত্তেজনা।

গ্রামবাসীর অভিযোগে জানা যায়, প্রায় শত বছর আগে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের গিরীশনগর গ্রামের জেহের আলী মণ্ডল ও তার ভাই রোকমান আলী মণ্ডল ১০ কাঠা করে মোট এক বিঘা জমি দান করে গ্রামের কবরস্থানের জন্য। সেই থেকে স্থানীয় লোকজন মারা গেলে এ কবরস্থানেই তাদেরকে দাফন করা হয়ে থাকে। কয়েক দিন আগে কর্মসৃজন শ্রমিক দিয়ে ওই কবরস্থানটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং মাটি কেটে পরিপাটি করা হয়। গতপরশু সোমবার সেখানে নজর পড়লে রোকমান মণ্ডলের ওয়ারিশ জামাই কেরুজ ড্রাইভার আজম আলী ও তার ছেলে শাহাবদ্দীনের। তারা লোকজন নিয়ে কবরস্থান দখল করতে যায় এবং একটি পাকা কবর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। প্রথম দিনের ঘটনায় গ্রামবাসী বিষয়টি তেমন আমলে নেয়নি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে পুনরায় পাকা কবর ভেঙে জায়গা দখল করতে গেলে গ্রামের মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আজম ও তার ছেলে শাহাবদ্দীন জোরপূর্বক কবরস্থান দখল নিতে গেলে একপর্যায়ে গ্রামবাসী প্রতিরোধ গড়ে তোলে। অবস্থা বেগতিক বুঝে আজম ও শাহাবদ্দীন তার লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি নজর আলী বলেন, জন্মের পর থেকে দেখে আসছি এ কবরস্থানে স্থানীয়রা মারা গেলে তাদের কবর দেয়া হয়ে থাকে। কবরস্থান একটি ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান তা দখল করতে আসা কোনো সুস্থ লোকের কাজ না।

এদিকে শত বছরের কবর স্থান দখলের ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা। এ বিষয়ে আজম ড্রাইভারের পক্ষ থেকে বলা হয় রোকমান মণ্ডল জমি দিয়েছে মৌখিকভাবে। রেজিস্ট্রি করেত দেয়নি। আমরা ওয়ারিশ হিসেবে জমিতো নাও দিতে পারি। তাই ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া জমির দখল নিতে গিয়েছিলাম।