চুয়াডাঙ্গার কালুপোল রাজারভিটা আবিষ্কার হলে জেলার প্রাচীন ইতিহাস হবে পুর্নগঠন

লোকশ্রুতির সাথে মিল রয়েছে প্রাপ্ত নমুনার : গড়ে উঠতে পারে পর্যটনকেন্দ্র যাদুঘর

নজরুল ইসলাম: দেশের সকল জেলাতে পুরাকীর্তি থাকলেও চুয়াডাঙ্গা জেলায় অদ্যবদি খুঁজে পাওয়া যায়নি কোনো পুরাকীর্তির নিদর্শন। দেরিতে হলেও প্রত্নতত্ত্ববিদদের অনুসন্ধানে কালুপোল গ্রামে গন্ধোপ রায় রাজার ভিটায় সন্ধান মিলেছে পুরাকীর্তির । মানুষের মুখের কল্পকাহিনি ও জনশ্রুতির ওপর ভর করে পুরাকীর্তি আবিষ্কারে জোরেশোরে কাজ করে যাচ্ছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। বংশপরামপরায় শোনা এলাকার মানুষের মুখ থেকে বেরিয়ে আসছে নানা কল্প কথা ও চমকপ্রদ কাহিনি। তবে কবে কখন রাজারভিটাটি নির্মাণ হয়েছে তা সঠিকভাবে জানা না গেলেও স্থানটিতে সেন বংশ ও পরে সুলতানি আমল ছিলো বলে ধারনা করা করছে ভূতত্ত্ববিদরা। যতোই দিন গড়াচ্ছে ততোই আবিষ্কার হচ্ছে নতুন নতুন তথ্য। কৌতূহলী হয়ে উঠচ্ছে এলাকার মানুষ। দৈনিক মাথাভাঙ্গায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে কালুপোলের রাজারভিটা দেখার জন্য ভীড় জমাচ্ছে দর্শনার্থীরা। রাজার ভিটাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে দোকান পাট। আবার কেউ কেউ কল্পকাহিনি ফেঁদে লালসালু বিছিয়ে বসেছে। রাজারভিটার বিষয়টি এখন এলাকার মানুষের কাছে প্রধান আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বর্তমানে মানুষ বসতবাড়ি বা স্থাপনা নির্মাণ করে থাকেন সড়কের কোলঘেষে। শুধুমাত্র যাতায়াতের সুবিধার্থে। আর সীমানাপ্রাচীর  দিয়ে স্থাপনাগুলো নিরাপদ রাখার জন্য। ঠিক তেমনি মধ্যযুগের রাজা, বাদশা, কাউচ, কুতুব পীর আওলিয়ারা স্থাপনা, প্রাসাদ, উপাশানালয় অথবা রাজকার্য পরিচালনা করার জন্য রাজ দরবার এ জাতীয় স্থাপনাগুলো তৈরি করতেন জলপথের সীমারেখায়। কারণ তখনকার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যমিই ছিলো নদীপথ। তাই তাদের পছন্দের জায়গাগুলো ছিলো নদীবেষ্টিত কোনো নির্জন জায়গা। স্থাপনার চারিদিকের নদী সীমানা প্রাচীর হিসেবে ব্যবহার হতো। তারই আলোকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের কালুপোল গ্রামের গন্ধোপ রাজার রাজ প্রাসাদটি (রাজারভিটা) গড়ে উঠেছে তিন দিক চিত্রানদী বেষ্টিত জায়গায়।

ইতিহাস বিশ্লেষণ করে জানা যায়, ১২ শতকের দিকে সেন শাসনাধীন বাংলায় সংস্কৃতি সাহিত্যের অভূতঃপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়। এ যুগে শৈল্পিক কৃতিত্বের অপর ক্ষেত্র হচ্ছে ভাস্কর্য নির্মাণ। চতুদর্শ শতকে সেনযুগে বাংলার ভাস্কর্য শিল্পের চরম উন্নতি ঘটে। বাংলার ভাস্কর্যের আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য ও স্বতন্ত্র ধারাও এ যুগে সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে।  সুলতানি শাসনামল শুরু হয় ১৩ শতকের সূচনালগ্নে (১২০৪-০৫)। ইতিহাসে সুলতানি আমলের স্থায়িত্ব ছিলো ১১৮৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৫২৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। প্রায় তিন শতাব্দীর বেশি সময় ধরে টিকে থাকা এ সুলতানি আমল ইতিহাসের অনেক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সাক্ষ্য বহন করে। ১৩৩৮ থেকে ১৫৩৮ এর মধ্যে চলা বাংলার সুলতানি আমল বেশ সমৃদ্ধশালী ছিলো। তখন থেকেই বাংলায় মুসলিম শাসনের সূত্রপাত হয়। তবে এর অনেক আগে থেকেই বাংলার সাথে আরব মুসলমানদের যোগাযোগ ছিলো। অবশ্য সে যোগাযোগের স্বরূপ ছিলো বাণিজ্যিক ও ধর্মীয় এবং তা উপকূলীয় অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ ছিলো। তখনও অধিকাংশ ইমারতগুলো গড়ে ওঠে নদীর অববাহিকায়। সেদিক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ভৈরব-কপোতাক্ষ নদ, বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটি ভারতের মুর্শিদাবাদ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার একটি প্রাচীন নদী। পরবর্তীতে ভৈরব মেহেরপুরের পশ্চিম পাশ দিয়ে সুবলপুর গ্রামের কাছে মাথাভাঙ্গার সঙ্গে মিলিত হয়েছে। দর্শনা রেলস্টেশনের দক্ষিণ-পূর্ব কোণ থেকে ভৈরব নদী মাথাভাঙ্গা নদী থেকে বিচ্যুতি হয়ে যশোরে প্রবেশ করে কোটচাঁদপুর পর্যন্ত পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে পরে দক্ষিণমুখি হয়েছে। ভৈরব একটি তীর্থ নদী হিসেবেও পরিচিত। বাংলাদেশে এক নামে একাধিক নদী থাকলেও ভৈরব নামে অপর কোনো নদী নেই। ভৈরব নদীর রয়েছে একাদিক শাখা নদী। চিত্রানদী তারই একটি শাখা নদী। সেন বংশের অবসানের পরই সুলতানি আমলের সূত্রপাত হয়। ভারত উপমহাদেশে ইসলাম ধর্ম প্রচারে প্যারশ্য সাম্রাজ্য থেকে অনেক ইসলাম ধর্ম প্রচারকের আগমন ঘটে। বাংলায় যতো ধর্ম প্রচারকের আর্বিভাব ঘটেছে তাদের অধিকাংশই ভারত থেকে ভৈরব নদীপথ ধরে বাংলায় আগমন ঘটেছে। তেমনি খুলনা বাগেরহাটের খানজাহান আলী (র.) পারশ্য সাম্রাজ্য থেকে (বর্তমানে উজবেকিস্থান) ভারতের নদীপথ ধরে বাংলায় আসেন। খানজাহান আলীর সানিধ্যে থেকে অনেক অনুসারীর সৃষ্টি হয়। তারই অনুসারী ছিলেন গড়াইটুপি অর্মবতী মেলার মাঠে সমায়িত খাজা মালিক উল গাউছ (র.)। তবে মালিক উল গাউছের মাজার নিয়ে বিশ্লেষকদের রয়েছে ভিন্ন মত। গড়াইটুপি অর্মবতী মেলার মাঠে মালিক উল গাউছের শলীল সমাধি হয়নি। এটা তার আস্তানা মাত্র। আর আস্তানাকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে মাজার। তার শলীল সমাধি হয়েছে ভারতের বানপুরের মেটেরিতে। জনশ্রুতি আছে মালিক উল গাউছের সাথে বিরোধ বাঁধে রাজা গন্ধোপ রায়ের। বিরোধে গন্ধোপ রায়ের পতন হলে রাজ প্রাসাদ ছেড়ে পরিবারের বাকি সদস্যরা পালিয়ে যায়। তেমনি গন্ধোপ রাজার মেয়ে অর্মবতী ও চম্পাবর্তী প্রাসাদ ছেড়ে সোনার ডিঙি পালিয়ে যাবার সময় গোষ্টবিহার গ্রামের নিচে চিত্রানদীতে ডিঙি ডুবে তাদের শলীল সমাধি হয়। যা বর্তমানে গোষ্টবিহার গ্রামের করিমের বাড়ির নিচে চিত্রানদীতে ঢিবি আকারে আছে।

কালুপোল গ্রামের নিজাম উদ্দীন (৭৫) বললেন, এই রাজার ভিটার পশ্চিম দিকে রয়েছে উজির ভিটা, উত্তরে ধোপার ভিটা, পূর্বে নাপিতের ভিটা আর দক্ষিণে আছে চিত্রানদী। আর তখনকার মানুষ দক্ষিণ দুয়ারের ঘর বানাতো দক্ষিণা বাতাস ঘরের মধ্যে প্রবেশ করার জন্য। রাজার বাড়ির নিকটবর্তী জায়গায় উজির, নাজিরদের বাসস্থল থাকবে এটাই স্বাভাবিক। গন্ধোপ রায় রাজার বহুগৃহপালিত পশু ছিলো। রাজার পতনের পর ওই সমস্ত পশু যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে গোষ্টবিহার গ্রামে উঠেছে সেই রাস্তায় পশুর পায়ের খুরের আঘাতে দো-আর সৃষ্টি হয়েছে। যা এখনও বিদ্যমান আছে।

৭০ বছর বয়সী আলী মোহাম্মদ বললেন, সোনার ডিঙি নিয়ে পালানোর সময় গন্ধোপ রাজার যে দু মেয়ে যেখানে ডিঙি ডুবে মারা যায়, সেই জায়গাটি হচ্ছে গোষ্টবিহার গ্রামের করিমের বাড়ির নিচে চিত্রানদীতে। সে সময় থেকে সেই জায়গাটি উঁচু ঢিবি হয়ে আছে। নদীর পানি যখন প্রবাহিত হয়, তখন ওই ঢিবির দু পাশ দিয়ে এখনও পানি যায়। রাজার ভিটার নিচে চিত্রানদীতে এখনও আছে রাজার এবং উজিরের নৌকা বাঁধা ঘাট। যেখানে রাজা ও উজির ডিঙি, নৌকা বেঁধে রেখে প্রাসাদে যেতো।

প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কাস্টোডিয়ান গোলাম ফেরদৌস বললেন, বর্তমানে রাজার ভিটার মালিকের সাথে একটি মিলচুয়্যাল যুক্তির মাধ্যমে প্রাথমিক পরীক্ষামূলক খনন এবং নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে। প্রাথমিক খননের পর যে সমস্ত নমুনা এবং উপাত্ত পাওয়া গেছে এ বিষয়টি নিশ্চিত যে, এ ভিটায় সেন এবং সুলতানি আমলের লোকজনের বসবাস ছিলো। ১২০৫ সালে ইখতিয়ারুদ্দীন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি বাংলার সেন রাজা লক্ষণ সেনকে পরাজিত করে বাংলায় মুসলিম রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময়কার নির্মাতারা নির্মাণ কাজে যে ধরনের উপকরণ ব্যবহার করতেন যেমন ইট, সুরকি, ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির খেলনাপাতি তারই নমুনা। গবেষণা হয়ে থাকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিচ্ছিন্ন নানা উপকরণের ওপর ভিত্তি করে। প্রাথমিক তথ্যে তার সত্যতা মিলেছে। রাজারভিটাটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা করার পরই মূল কাজ শুরু হবে। তবে একটি বিষয় সঠিক, রাজারভিটা নিয়ে স্থানীয় মানুষের মনে যে ভীতি ছিলো তা কেটে গেছে। আর এ ভীতি থাকার কারণেই কিন্তু ভিটাটি নষ্ট হয়নি। তা না হলে কোনো কিছুই অবশিষ্ট থাকতো না। চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে যে সমস্ত নদী পথ প্রবাহিত হয়েছে সে সমস্ত নদীপথ বার বার বাঁধা প্রাপ্ত হয়েছে। যার কারণে পুরাকীর্তি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা প্রাচীন ও ঐতিহাসিক স্থান হলেও নদী ভাঙনের ফলে তা নষ্ট হয়ে গেছে। তাই রাজারভিটা আবিষ্কার হলে চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রাচীন ইতিহাস হবে পুর্নগঠন।

প্রফেসর আব্দুল মোহিত বলেন, ১৪১৯ সালে অর্থাৎ আজ থেকে ৫শ ৯৭ বছর আগে খানজাহান আলী ভৈরব নদী পথে দিল্লি থেকে খুলনা বাগেরহাটে আসেন। তিনি খুলনা বাগেরহাটে পৌঁছুনোর আগে বারবাজার, যশোহরসহ বিভিন্ন জায়গায় যাত্রাবিরতি করেছেন এবং কিছু না কিছু তৈরি করেছেন। সে সময় খানজাহান আলীর ৪ জন ভক্ত সৃষ্টি হয়। তাদের মধ্যে গড়াইটুপির মও. আলী মালিক-উল-গাউছ, মেহেরপুরের মেহেরুল্লাহ শাহ, মুজিবনগর বাগোয়ানের ফরিদুল্লাহ শাহ এবং আন্দুলবাড়িয়ার আশরাফ আলী। ভক্তদের প্রত্যেককে একটি করে পাথর উপহার দেন তিনি। যা আজও তাদের মাজারে বিদ্যমান। মালিক-উল-গাউছের সাথে গন্ধোপ রায় রাজার বিরোধ সৃষ্টি হয়। তা চূড়ান্তরূপ নেয় এবং তার পতন হয়। পতনের পর রাজার রাজ প্রাসাদটি (রাজারভিটা) পরিত্যক্ত হয়। সবচেয়ে বড় প্রমাণ দৃশ্যমান বস্তুত অস্বীকার করা যায় না। তেমনি রাজারভিটা দৃশ্যমান এটা অস্বীকার করার কিছুই নেই। আর রাজার ভিটার আশপাশেই তো উজির, ধোপা, নাপিতের ভিটা থাকাটায় স্বাভাবিক।

বলদিয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আজিম উদ্দীন বলেন, ভারত সরকার গোরা কৃষ্ণনগর জেলার বামনপুর গ্রামে সেন বংশের শেষ জমিদার বল্লম্ব সেনের একটি বাড়ি মাটির নিচ থেকে আবিষ্কার করেছে। রাজারভিটায় যে ধরনের নমুনা দেখছি সেখানেও একই ধরনের নমুনা রয়েছে। বর্তমানে ভারত সরকার সে স্থানটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছে। যা টিকেট কেটে দর্শনার্থীদের দেখতে হয়।

তিতুদহ ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বলেন, রাজাভিটাটি ১৯৬২ সালে গ্রামের মৃত গোলাম রহমানের ছেলে মধু বিশ্বাসের নামে রেকর্ড হয়ে মালিকানাধীন হয়ে গেছে। বর্তমানে মধু বিশ্বাসের ওয়ারেশ গোলাম মোস্তাফারা এ ভিটার দাবিদার। এসএ ১৪২০ দাগে ৮০ শতক এবং আরএস ২০৩৫ দাগে ৮১ শতক রেকর্ডভুক্ত হয়ে আছে। এ ভিটাটি আবিষ্কার হলে চুয়াডাঙ্গা জেলার সমৃদ্ধ ইতিহাস হবে আরও সমৃদ্ধ। রাজারভিটাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে পারে জাদুঘর, স্থানটি হতে পারে পর্যটনকেন্দ্র। তাই এলাকাবাসীর দাবি ঐতিহাসিক নিদর্শন রাজার ভিটার কাজ কোনোভাবেই যেন থমকে না যায়।

উল্লেখ্য, ইতিহাস সমৃদ্ধ চুয়াডাঙ্গা জেলায় ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে প্রত্নতত্ত্ব ও ঐতিহাসিক নিদর্শন আবিষ্কারে জরিপ শুরু হয়। এ জরিপে চুয়াডাঙ্গা জেলার ২২৫টি গ্রামের ৯৪টি জায়গায় অনুসন্ধান চালানো হয়। এর মধ্যে ৩টি স্থানকে চিহ্নিত করা হয়। দামুড়হুদার চারুলিয়া, জীবননগরের দৌলতগঞ্জ এবং চুয়াডাঙ্গা সদরের কালুপোল গন্ধোপ রায়ের ভিটা। এরই মধ্যে রাজারভিটায় বেশকিছু নমুনা আবিষ্কার হয়েছে। যার মধ্যে আছে, ধুপচি, লোহার তৈরি বল্লম্ব, মাটির হাড়ি, সারা, কড়ি, পশুর হাড়, হরিণের শিং, মাটির তৈরি পুতুল, প্রদীপ, সানকিসহ নতুন নতুন অনেক কিছু। যা দেখতে প্রতদিনিই দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছে রাজার ভিটায়।