চুয়াডাঙ্গার উজলপুরে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে খুঁটির সাথে বেঁধে রেখে বর্বর নির্যাতন

গৃহবধকে হাসপাতালে ভর্তি : থানায় অভিযোগ

দামুড়হুদা অফিস: বিদেশে যাওয়ার ২ লাখ  টাকা পিতার কাছ থেকে এনে দিতে না পারায় স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ মিলে খুঁটির সাথে বেঁধে অমানসিক নির্যাতন করেছে। মারাত্মক জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ৪ জনের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১১ সালের ৮ ডিসেম্বরে দামুড়হুদা খাপাড়ার আব্দুল জলিল মীরের মেয়ে জলি খাতুনের (৩০) সাথে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের উজলপুর গ্রামের ছিওম আলীর ছেলে নাসির উদ্দীনের (৩১) বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। বিয়ের পরপরই যৌতুক বাবদ ২ লাখ টাকা দাবি করে স্বামী। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে জামাইকে ৮৫ হাজার টাকা সোনার হয়না দেয়। এরপরও থেমে থাকেনি তার ওপর নির্যাতন। বায়না ওঠে বিদেশে যাবে। এজন্য তার পিতার বাড়ি থেকে আবারও ১ লাখ টাকা আনতে বলে। টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানালে গত সোমবার রাত ৯টার দিকে খুঁটির সাথে বেঁধে রেখে স্বামী নাসির উদ্দীন, শ্বশুর ছিওম আলী, শাশুড়ি আসমা খাতুন ও ননদ মিনি জলি খাতুনকে নির্মমভাবে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। জলি খাতুনের পিতা মাতা খবর পেয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গতকাল জলি খাতুনের মামা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দাখিল করেছে।