চীনা দম্পতিরা দুটি সন্তান নিতে পারবেন

মাথাভাঙ্গা মনিটর: চীনের শীর্ষ আইন প্রণয়নকারী সংস্থা দেশটির এক-সন্তান নীতি শিথিল করে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন আইন বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ন্যাশনাল পিপল’স কংগ্রেস নতুন যে প্রস্তাবটি পাস করা হয়েছে, সেটি অনুযায়ী এখন থেকে চীনা দম্পতিরা দুটি সন্তান নিতে পারবেন। তবে, এজন্য একটি শর্তও বেধে দেয়া হয়েছে। উভয় দম্পতিকেই তাদের পিতামাতার একমাত্র সন্তান হতে হবে। অর্থাৎ, স্বামী বা স্ত্রী যেকোনো একজনের পিতামাতার যদি দুটি সন্তান থাকে, সেক্ষেত্রে তারা দুটি সন্তান নিতে পারবেন না। গত নভেম্বর মাসে কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকে এক-সন্তান নীতিতে পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু, প্রস্তাবটির চূড়ান্ত বাস্তবায়নে আইন পরিষদের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন প্রয়োজন ছিলো কংগ্রেসের। এদিকে সংস্কার করা নতুন নীতি এরই মধ্যে দেশটির কিছু অংশে পরীক্ষা করা হয়েছে। কংগ্রেসে ৬ দিনের এক বৈঠকের পর আইনটি সংস্কার করে পরিবর্তিত আইনটি প্রণয়ন করা হয়। দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৯৭০ এর দশকের শেষদিকে এক-সন্তান নীতি প্রণয়ন করেছিলো চীন। কিন্তু, যতো সময় অতিক্রান্ত হয়েছে, ততোই অজনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এক-সন্তান নীতি। একই সাথে বয়স্ক জনসংখ্যাও যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে শঙ্কিত ছিলো কর্তৃপক্ষ। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০৫০ সাল নাগাদ চীনে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষের জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশেরও বেশি হবে। সেক্ষেত্রে সক্ষম ও কর্মক্ষম জনসংখ্যা হারাবে দেশটি। দেশটিতে এতোদিন বেশ কঠোরভাবে এক-সন্তান নীতি অনুসরণ করা হতো।