চার ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ২০ হাজার কোটি টাকা

 

স্টাফ রিপোর্টার: রাষ্ট্রীয় মালিকানধীন চার বাণিজ্যিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৯ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা। এসব ঋণের ৬০ শতাংশই ২০০ শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের কাছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৈরি করা এক প্রতিবেদনে এমন চিত্রই দেখা গেছে। ওই প্রতিবেদন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে সম্প্রতি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রতিবেদনে রাষ্ট্রয়াত্ত্ব সোনালী, জনতা, অগ্রনী ও রূপালী ব্যাংকের ঋণ খেলাপিদের মধ্যে শীর্ষ ৫০টি করে প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঋণের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে। এরমধ্যে সোনালী ব্যাংকের ১০ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের তিন হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংকের তিন ৫২৭ কোটি টাকা ও রূপালী ব্যাংকের এক হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ রয়েছে। ওই তালিকায় ২০০প্রতিষ্ঠানের খেলাপির মোট ঋণের ৬০ শতাংশের বেশি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানধীন প্রতিটি ব্যাংকে বড় ধরনের খেলাপি ঋণ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০ থেকে ২৫টি করে। আর এসব প্রতিষ্ঠানকে ঋণ বিতরণের জন্য ব্যাংকগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অদক্ষতা ও অব্যবস্থপনা দায়ী। এদিকে এসব ব্যাংকের ঋণ খেলাপির তালিকায় থাকা শীর্ষ ২০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ৫৮টি পোশাক কারখানা। বাকিগুলো বিভিন্ন ধরনের শিল্প ও সরকারি প্রতিষ্ঠান।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর বেশির ভাগ খেলাপি ঋণই রাজনৈতিক দলের বড় নেতাদের প্রতিষ্ঠানের কাছে। ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিন ধরে মামলা করেও ঋণের টাকা আদায় করতে পারছে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদেরকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেয়া হয়। দক্ষ ও পেশাদারদের এ পদে নিয়োগ না দিলে রাজনৈতিক বিবেচনায় ঋণ দেয়াও বন্ধ হবে না। তাই পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে দক্ষতা ও পেশাদারিত্বকে বিবেচনায় নিতে হবে। অন্যদিকে নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইন সংশোধন করে কঠোর বিধান করতে হবে। সেটা না করা গেলে এ ধরণের খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমানো যাবে না। অন্যদিকে যেসব ঋণ খেলাপি হয়ে গেছে সেগুলোও আদায় করা সম্ভব হবে না।