চাঁদাবাজির মামলার আসামিকে গ্রেফতারের পরিবর্তে বাদীকে আসামির সাথে মীমাংসা করে আলমডাঙ্গা থানার এক এএসআই

স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদাবাজির মামলার আসামিকে গ্রেফতারের পরিবর্তে বাদীকে আসামির সাথে মীমাংসা করে নেয়ার প্রস্তাব দিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি করেছেন আলমডাঙ্গা থানার এএসআই লিয়াকত আলী। অভিযোগকারী বলেছেন, আসামি কিছুদিন গা-ঢাকা দিলেও পরে ফিরে কর্মস্থলে যোগ দিলেও তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না, উল্টো আপস-মীমাংসার কথা বলছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার স্বামী পাঁচলিয়া গ্রামের ফারজন আলী মাস্টারের নিকট অজ্ঞাত ব্যক্তি নিজেকে চরমপন্থি দলের নেতা পরিচয় দিয়ে মোবাইলফোনে চাঁদা দাবি করে আসছিলো। চাঁদার টাকা না দিলে ওই শিক্ষিকাকে বোমা মেরে হত্যার হুমকিও দিতো বলে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। এ বিষয়ে ফারজন আলী মাস্টার আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের মোবাইলফোনের সিম ট্র্যাক করে জানতে পারেন চাঁদাবাজ আর কেউ না। ওই বিদ্যালয়ের পিয়ন সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক। তিনিই নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার স্বামীর নিকট বোমা মেরে হত্যার হুমকি দিয়ে এতোদিন চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। পিয়ন সিদ্দিকুর রহমান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিবুল হকের ফুফাতো ভাই বলে জানা গেছে। এ বিষয়টি পুলিশের নিকট পরিষ্কার হলেও গ্রেফতার করা হয়নি চাঁদাবাজ সিদ্দিকুর রহমানকে। ভুক্তভোগী ফারজন আলী জানিয়েছেন, আসামিকে গ্রেফতারের ব্যাপারে বরাবরই অনীহা ছিলো আলমডাঙ্গা থানার এএসআই লিয়াকতের।

তিনি বলে আসছেন, আসামিকে খুঁজে পাচ্ছেন না। অথচ আসামি কিছুদিন গা-ঢাকা দিলেও পরে নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতেন। সে সময়ে এএসআই লিয়াকতকে আসামির অবস্থান জানালেও তিনি গ্রেফতার করেননি। দেড়-দু ঘণ্টা পরে যখন আসামি সেখান থেকে চলে যেতেন, তখন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে যেতো। অভিযোগ উত্থাপনকারীদের নিকটজনেরা এ তথ্য দিয়ে বলেছে, আশ্চর্যের ব্যাপার যে, চাঁদাবাজ আসামিকে গ্রেফতার না করে এএসআই লিয়াকত কয়েকদিন ধরে মামলার বাদী ফারজন আলীকে আসামির সাথে মীমাংসা করে নিতে প্রস্তাব দিচ্ছেন। অভিযোগ করে ফারজন আলী বলেন, আমার এক ভাই পুলিশের এসআই। সে বেশ কয়েক বার এ বিষয়ে এএসআই লিয়াকতের সাথে কথাও বলেছে।