গ্রাম্য চিকিৎসকের অপচিকিৎসার শিকার রোগী হাসপাতালে এসেও মানসিক কষ্টে!

 

স্টাফ রিপোর্টার: গ্রাম্য চিকিৎসকের অপচিকিৎসায় তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এসেও মানসিক কষ্টের শিকার হয়েছেন আতরাব আলী (৫১)। প্রথম দিন আকুতি জানিয়েও ভর্তি হতে না পেরে দ্বিতীয় দিন গতপরশু শনিবার জরুরি বিভাগে এসে আমি কী পাপ করেছি যে, আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে না? এ প্রশ্ন তুলতেই কর্তব্যরত চিকিৎসক আগ্রহী হয়ে তাকে ভর্তি করিয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন জেলা সদরে বোয়ালিয়ার আতরাব আলী। তিনি অপচিকিৎসার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, হাতে ব্যাথা। মাঝেমাঝেই যন্ত্রণা হয়। চিকিৎসা নেয়ার জন্য দিন ১৫ আগে ডিঙ্গেদহের বারী ডাক্তারের কাছে যায়। তিনি মাজায় একটা ইনজেকশন দেন। হাতের ব্যথা মাজায় ওই ইনজেকশনের কাছে গিয়ে জমলো। অসহ্য হয়ে উঠতে লাগলো। বারী ডাক্তারের কাছে গেলাম। তিনি টাকা নিলেন, মলম দিলেন। বললেন ঠিক হয়ে যাবে। ঠিক আর হলো না। পুঁজ বেরাতে শুরু করলো। ফুলে আব হয়ে গেলো। যন্ত্রণা বাড়তেই থাকলো। উপায় না পেয়ে শুক্রবার হাসপাতালে এলাম। ৫শ টাকা নিয়ে ইনজেকশনের ওই স্থানে জমা পুঁজ বের করে দিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে দিলো। এতো করে অনুরোধ করলাম, যন্ত্রণা সহ্য হচ্ছে না। ডাক্তার না দেখিয়ে যাবো না। হাসপাতালে ভর্তি করে নাও। নিলো না। বাড়ি ফিরে যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে শনিবার এসে জোরে জোরে যখন বলতে লাগলাম, আমি কী পাপ করেছি যে, আমাকে তোমরা ভর্তি করবা না? তখন দেখি ডাক্তার বেরিয়ে এসে আমাকে ভর্তি করে নিলো। চিকিৎসাও দিলো। এখন একটু ভালো লাগছে।

উল্লেখ্য, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দীর্ঘদিন ধরেই স্বেচ্ছাসেবক ও ব্রাদারদের কয়েকজন রোগীদের নিকট থেকে টাকা আদায়সহ রোগী সাধারণকে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।