গুলশান হামলা : জাপানি নাগরিকের বেঁচে যাওয়ার গল্প

স্টাফ রিপোর্টার: গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরায় হামলা থেকে বেঁচে ফেরা একমাত্র জাপানি নাগরিক তামাওকি ওয়াতানাবে বাগানের এক ঝোঁপে লুকিয়ে হামলাকারীদের হাত থেকে রেহাই পেয়েছিলেন।

৪৬ বছর বয়সী তামাওকি ওয়াতানাবে গুলশান হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। এখন টোকিওর এক হাসপাতালে আছেন তিনি। আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠছেন তামাওকি। তিনি জানিয়েছেন, হলি আর্টিজানে গোলাগুলি শুরু হওয়ার সাথে সাথে তিনি ওই ক্যাফে থেকে বের হয়ে বাগানের ঝোঁপে এসে আশ্রয় নেন। জাপানি পুলিশের সাথে প্রথম সাক্ষাৎকারে তামাওকি নিশ্চিত করেন, তার সাথে আরও ৭ জাপানি নাগরিক ছিলেন এবং জঙ্গিবিরোধী অপারেশন শেষে তাদের কেউ ভবন থেকে বের হয়ে আসেননি।

তামাওকি সেই ১৩ জনের একজন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় যারা গুলশানের অভিযান শেষে বের হয়ে এসেছিলেন। পুলিশের সাথে কয়েক ঘণ্টার কথোপকথনের সময় শান্ত ছিলেন তামাওকি। এর আগে ৭ জুলাই মঙ্গলবার গুলশানের আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলায় নিহত জাপানিদের মরদেহ নিজ দেশে পৌঁছায়।

আহত জাপানি নাগরিক তামাওকিও অন্য একটি বিমানে করে দেশে পৌঁছান। জাপানের সংবাদমাধ্যম খবরটি নিশ্চিত করেছে। জাপানের বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাকে স্ট্রেচারে করে টোকিওর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার মরদেহবাহী বিমানটি অবতরণের পর শাদা কাপড়ে ঢাকা কফিনগুলো নামিয়ে আনা হয়।

এর পর চার চাকাবিশিষ্ট কার্গো ট্রলিতে কফিনগুলো সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এবং অন্য কর্মকর্তারা সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।