গাংনীর বামন্দীতে সড়ক সংস্কারের দাবিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীর বামন্দী বাজার সড়কে তৈরি হয়েছে মারণফাঁদে। সংস্কারের অভাবে বাজারের কিছু অংশে পানি জমে বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। এতে প্রতিদিনই যানবাহন দুর্ঘটনায় শিকার হওয়ায় গতকাল শনিবার বাঁশ পুতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয়রা।

বামন্দী বাসস্ট্যান্ড থেকে উত্তর দিকে বের হওয়া সড়কটি বামন্দী-কাজিপুর ও বামন্দী-তেঁতুলবাড়িয়া সড়ক হিসেবে পরিচিতি। এ সড়কটি এলজিইডির তালিকাভুক্ত উপজেলা সড়ক। কয়েক বছর আগে সড়কটি সর্বশেষ সংস্কার করেছিলো এলজিইডি। তবে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে সংস্কার করায় বামন্দী বাজারের মধ্যে বেশির ভাগ জায়গার বিটুমিন (পিচ) ও পাথর উঠে যায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা রাখেনি এলজিইডি। এতে পানি জমে সড়কে মাঝে মাঝে গর্ত সৃষ্টি হয়। বামন্দী বাসস্ট্যান্ডের পাশেই গত বছর থেকে পানি জমতে শুরু করে। চলতি বছরে ওই জায়গায় বেশ কয়েকটি বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়ে যায়। ব্যস্ততম সড়কটিতে দিনরাত যানবাহন চলাচল করে। স্থানীয় যানবাহন ছাড়াও ঢাকাগামী কিছু পরিবহন ও ট্রাক চলাচল করে। জেলার বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত বামন্দীতে অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনা সব সময়। এছাড়াও স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রীরা পড়ছে চরম বিপাকে। কিন্তু সড়কটি সংস্কার হয়নি। চলতি বর্ষা মরসুমে স্থানীয় লোকজন কিছু ইট-সুড়কি ফেলে কোনোমতে চলাচল উপযোগী করে। কিন্তু ভারী বর্ষণের পরে আবারও সড়কটিতে চলাচলের অনপুযোগী হয়ে পড়ে।

স্থানীয় লোকজন জানান, শুক্রবার কয়েকটি নসিমন, মোটরসাইকেল ভাঙা স্থান দিয়ে যাওয়ার সময় উল্টে পড়ে। এতে কয়েকজন আহত হন। গতকাল শনিবারও কয়েকটি যান উল্টে যায়। তাই প্রাণহানি থেকে এড়ানো ও সংস্কারের দাবিতে সড়কটির দু পাশে বাঁশ পুঁতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় স্থানীয়রা।

এলজিইডি গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী জানান, চার বছর পর পর এসব সড়ক সংস্কার করা হয় নীতিমালা অনুযায়ী। এ কারণে চলতি বছরে সংস্কার হয়নি। তবে আগামী বছরে অবশ্যই সংস্কার করা হবে। তবে চার বছর আগে কেন সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেলো সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।

এদিকে স্থানীয়রা সড়কটি সংস্কারে দাবিতে জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আর্জি জানিয়েছেন। কিন্তু কোনো আর্তিতেই সহসা মুক্তি মিলছে না। তবে দ্রুত সংস্কার না হলে প্রতিবাদ প্রকাশ অব্যাহত থাকবে বলে জানান স্থানীয়রা।