গাংনীর নিশিপুরে পূর্ব বিরোধের জোরে দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুর

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী-নিশিপুর গ্রামে একটি বাড়ি ও চায়ের দোকান গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে নিশিপুর গ্রামের রকিবুল ও শিমুল ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযোগে জানা গেছে, নিশিপুর গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দীরে ছেলে মনিরুল ইসলামের বাড়ির সাথে তার ভাই মাসুদ হোসেনের চায়ের দোকান ছিলো। ওই জায়গা নিয়ে একটি পক্ষের সাথে বিরোধ চলছিলো। এর জের ধরে নিশিপুর গ্রামের তায়েজ উদ্দীনের রকিবুল ইসলাম ও আশাদুল ইসলাম আশার ছেলে শিমুল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে। ঘটনার সময় বৃষ্টি হচ্ছিলো। বৃষ্টির মধ্যে তারা মনিরুল ইসলামের বাড়ি ও মাসুদের চায়ের দোকান ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেয়। বাড়ির আসবাবপত্র, খাবার-দাবার ও জিনিসপত্র ভাঙচুর ও তছনছ করে। বৃষ্টিতে জিনিসপত্র বিনষ্ট হয়ে যায়। মামুদের দোকানের টিনের ছাউনি, বেঞ্চ ও চায়ের চুলা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এ সময় নিশিপুর গ্রামের শামীম আহম্মেদ কালু সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার নেতৃত্বে ভাঙচুর হয়। ভাঙচুরের প্রতিবাদ করতে গেলে মনিরুলের চাচাতো ভাবী রিজিয়া খাতুনসহ কয়েকজন নারীকে গালিগালাজ করে মারধর করতে উদ্যত হয়। নারী মারধরের ভয়ে সেখান থেকে সটকে পড়েন। অপরদিকে বিষয়টি স্থানীয় ক্যাম্প অবগত হলেও ক্যাম্প ইনচার্জ বাধা দেননি। ভাঙচুরকারীদের সাথে ক্যাম্প ইনচার্জের দহরম-মহরম থাকায় তিনি পক্ষপাতিত্ব করছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ভুক্তভোগীরা বাড়িঘর হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। মানবেতর জীবনযাপন করছেন দুটি পরিবারের সদস্যরা।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ওই পক্ষের লোকজন মাসুদকে চায়ের দোকান সরিয়ে নিতে বলে বামন্দী পুলিশ ক্যাম্পের এসআই মোস্তাক হোসেন। মাসুদ তার কথা না শোনায় মিথ্যা মামলায় মাসুদকে সোপর্দ কহয়দেয়া হয়েছে। একদিকে বাড়িঘর ভাঙচুর অন্যদিকে মিথ্যা মামলার বেড়াজালে পড়ে গোটা পরিবার এখন অসহায় হয়ে পড়েছেন। তবে অভিযোগের বিষয়ে বামন্দী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মোস্তাক হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। সব ওসি স্যার জানেন। আপনারা ওসি স্যারের সাথে যোগাযোগ করেন। জানতে চাইলে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। লত অপর একজনের জায়গা তারা দখল করে বাড়ি ও চায়ের দোকান দিয়েছিল। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।