গাংনীর তেরাইলে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ : ময়নাতদন্ত

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার তেরাইল গ্রামে গৃহবধূ নাজমা খাতুনকে (২৫) শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম। নিহতের মা-সহ পরিবারের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করেছে পুলিশ। গতকাল ভোরের দিকে স্বামীর ঘরের ভেতর থেকে নাজমার ঝুলন্ত লাশের সন্ধান পায় পরিবারের সদস্যরা।

নিহতের মা আমেনা খাতুন অভিযোগ করে বলেছেন, গত রোববার রাতের কোনো এক সময় নাজমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘরের ছাউনির সাথে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। স্ত্রীরী আত্মহত্যা বলে চালানোর অপচেষ্টা করেন স্বামী জাহাঙ্গীর আলম। জাহাঙ্গীরের পরিবারের লোকজন জানায়, নাজমা ও জাহাঙ্গীর এক বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলেন। সকালে তারা নাজমার গলায় ওড়না দিয়ে  ফাঁস দেয়া লাশ দেখতে পায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত নাজমার মা ও মামাদের আপত্তির পরও স্থানীয় কিছু মানুষ বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জোর অপচেষ্টা চালায়। মামলা না করে অর্থের বিনিময়ে মীমাংসার জন্য কয়েক দফা বৈঠক বসে। বিষয়টি নিরসনের কথা বলে এলাকার কয়েজন জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে বাণিজ্য করেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। মীমাংসার টানাটানিতে নাজমার অসহায় পরিবার মামলা করতে পারেনি।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আলম জানিয়েছেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। তাই অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে লাশের ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।