গাংনীতে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধোপার সাথে ব্যাভিচার ॥ গণপিটুনি

গাংনী প্রতিনিধি: স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্ত্রী ব্যাভিচারে লিপ্ত। তাও আবার অন্যধর্মের পরপুরুষের সাথে। স্বামীকে বিছানার এক পাশে ফেলে রেখে দিনের পর দিন চলে আসছে এই রঙ্গলীলা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। স্বামী টের না পেলেও প্রতিবেশীরা বাধ সাধলেন। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পরকীয়া প্রেমিক জুটিকে আটক করে গ্রামবাসী দিলো রামধোলাই। শেষ পর্যন্ত তাদের ঠাঁই হয়েছে জেলহাজতে। আলোচিত এ ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামে।
জানা গেছে, তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের বড়া বিক্রেতা তোয়াজ আলীর স্ত্রী আদরী খাতুনের সাথে প্রতিবেশী রিপন কুমার বিশ্বাসের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি এক পর্যায়ে শারীরিক সম্পর্কে গড়ায়। তোয়াজ আলীর বাড়িতে রাতের আঁধারে দুজন মিলিত হতো। তোয়াজ আলীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে চলতো রঙ্গলীলা। তবে বিষয়টি তোয়াজ আলী টের না পেলেও প্রতিবেশীদের নজর এড়ায়নি। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের দুজনকে একই বিছানা থেকে আটক করে বেঁধে রাখে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের সোপর্দ করা হয়। গতকালই গাংনী থানা পুলিশ রিপন ও আদরীকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে।
গাংনী থানায় জিজ্ঞাসাবাদে রিপন কুমার জানান, তোয়াজ আলীর বাড়ির সাথে বড়া দোকান। তার স্ত্রী আদরী খাতুন মাঝে মধ্যে বড়ার দোকানে বসতো। তোয়াজ আলীর সাথে রিপনের ভালো সম্পর্ক ছিলো। এ সুবাদে ভাবি আদরীর সাথেও তার সুসম্পর্ক তৈরি হয়। এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
আদরী খাতুন ব্যাভিচারের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, গত ৫ মাস ধরে তাদের মাঝে শারীরিক সম্পর্ক চলে আসছে। কিন্তু স্বামী টের পায়নি। দুধের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাকে অচেতন করা হতো। স্বামী ঘুমিয়ে গেলে তিনি ডাকতেন রিপন কুমারকে। একই বিছানায় স্বামীকে রেখে রিপনের সাথে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হতেন দুজন। এই ঘৃর্ণিত কাজ কেন করলেন এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান আদরী খাতুন। তবে রিপনের সাথে বিয়ে করার উদ্দেশে নয়, শুধুমাত্র শারীরিক অবৈধ সম্পর্কের জন্যই সম্পর্ক করেছে বলে জানায় রিপন ও আদরী।
এদিকে মুসলমান গৃহবধূর সাথে হিন্দু যুবকের পরকীয়া ও শারীরিক সম্পর্ক মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসী। তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক সাজা ও এলাকা থেকে বিতাড়িত করার দাবি তুলেছেন এলাকারবাসী। আদরী ও রিপনের অসম পরকীয়া প্রেম নিয়ে এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য এবং তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া বলেন, গ্রামের মানুষ তাদের ওপর চরম ক্ষিপ্ত হয়েছে। রিপন ভিন্ন ধর্মের মানুষ তাই তার সাথে আদরীর বিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। তার স্বামী তাকে ঘরে তুলে নিতে চাইলেও গ্রামের মানুষের চরম আপত্তি রয়েছে। তাই এ বিষয়ে সহযোগিতা পেতে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।