গাংনীতে স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বামী পরিত্যক্তার দেহভোগের অভিযোগ : সাময়িক বহিষ্কার

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী মহাম্মদপুর গ্রামের স্কুলশিক্ষক সাইফুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী এক স্বামী পরিত্যক্তা নারীর দেহভোগের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে ওই নারী গর্ভবতী। তবে অনাগত শিশুটির পিতৃ পরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন সুমন। তিনি মহাম্মদপুর গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে এবং মহাম্মদপুর আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ধর্মীয়)। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। বিষয়টি নিরসনে মহাম্মদপুর গ্রামে চলছে দফায় দফায় সালিস বৈঠক।

অভিযোগে জানা গেছে, সুমনের এক প্রতিবেশী দিনমজুরের মেয়ে বেতবাড়িয়া গ্রামে বিয়ে হয়। কিন্তু সংসার টেকেনি। আড়াই মাস আগে ডিভোর্স হলে পিতার বাড়িতে অবস্থান করেন ওই মেয়ে। অবশ্য বিয়ের আগে থেকেই প্রতিবেশী স্কুলশিক্ষক সাইফুল ইসলাম সুমনের সাথে তার প্রেমসম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেয়ের শারীরিক অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখা দিলে রোববার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। ৩ মাসের গর্ভবর্তী ধরা পড়লে পরিবার ও গ্রামে হইচই পড়ে যায়। এক পর্যায়ে সে পরিবারকে জানায় সুমনের সাথে তার শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে। বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘদিন ধরে দেহভোগ করে আসছে সুমন। মেয়ের পিতা অভিযোগ করেন সুমনের বিদ্যালয়ে ও গ্রামবাসীর কাছে। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্যদের সভায় সুমনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে বলে জানান মহাম্মদপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। অভিযোগ সাজানো বলেও দাবি করেন তিনি।

এদিকে প্রভাবশালী সুমনের পরিবারের পক্ষ থেকে ওই মেয়ের পরিবারকে অব্যাহত হুমকির মুখে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। কয়েকদিন ধরে গ্রাম্য সালিস হলেও নিরসন হচ্ছে না। গর্ভের সন্তানের পিতৃ পরিচয় ও ওই নারীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন সুমন। এতে নিরুপায় হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। সালিসে বিচার না হলে মামলা করা হবে বলে জানান তারা। তবে সুমনের পরিবারের হুমকির মুখে তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন কি-না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।