গাংনীতে ফেসবুক বান্ধবীকে নিয়ে বেকায়দায় দুই যুবক : ৫৫ হাজার টাকায় দফারফা

 

গাংনী প্রতিনিধি: ফেসবুকের এক বান্ধবীকে নিয়ে গ্যাড়াকলে পড়েছে দুই যুবক। গত বৃহস্পতিবার রাতে মেহেরপুর গাংনীর চিৎলা গ্রামের সড়ক থেকে বান্ধবীসহ দুজনকে গ্রেফতার করে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করলেও ৫৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। বিষয়টি এখন ওই এলাকার আলোচিত ঘটনা।

স্থানীয় ও পুলিশসূত্রে জানা গেছে, চিৎলা গ্রামের এক সন্তানের জননী স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীর সাথে মাস খানেক আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় হাড়িয়াদহ গ্রামের কলেজ পড়ুয়া এক যুবকের। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ওই বান্ধবীসহ দুই যুবক পাখিভ্যানযোগে গাংনী শহরের দিকে আসছিলো। এতে সন্দেহ দেখা দেয় স্থানীয়দের মাঝে। অপরিচিত দুই যুবকের সাথে গ্রামের মেয়েকে দেখে ভিন্ন ভিন্ন মতামত পোষণ করেন গ্রামবাসী। সন্দেহের বশেই তারা তিনজনকে গ্রেফতার করে। তারা স্বামী-স্ত্রী কি-না, প্রেমের সম্পর্ক থাকলে এত রাতে কোথায় যাচ্ছে। এসব নানা প্রশ্নের সদুত্তোর দিতে ব্যর্থ হয় তারা। এতে গ্রামবাসীর সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি গড়ায় থানা পুলিশে। গাংনী থানা পুলিশের একটি দল ওই নারীকে স্থানীয় এক মেম্বারের জিম্মায় দিয়ে দুই যুবককে থানা হেফাজতে নেয়।

এদিকে সকালে গ্রেফতার দুই যুবক এবং ওই নারীর পরিবারের পক্ষের লোকজন থানায় অবস্থান নেয়। তৃতীয় একটি পক্ষের কিছু লোক দফারফার জন্য দেনদরবার শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ৫৫ হাজার টাকায় মীমাংসা হয়। এর মধ্যদিয়ে ওই নারী থানায় মামলা কিংবা অভিযোগ করেননি। শেষ পর্যন্ত দুই যুবককে পরিবারের জিম্মায় মুক্তি দেয় পুলিশ।

মীমাংসায় উপস্থিত কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হাড়িয়াদহ গ্রামের ওই যুবকদের পরিবার ৫৫ হাজার টাকা প্রদান করবেন ওই নারীকে। বিনিময়ে তিনি যুবকদের নামে কোনো মামলা কিংবা অভিযোগ করবেন না।

গ্রেফতার যুবকরা জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয়। যশোরে বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশে তারা চিৎলা গ্রাম থেকে রওনা দিয়েছিলেন। তবে ভিন্ন কথা বলেছেন ওই নারী। তিনি বলেন, হাড়িয়াদহ গ্রামের যুবকের সাথে তার বিয়ের কতাবার্তা হয়েছিলো। বিয়ের আশ্বাসে সে যশোর নিয়ে যাচ্ছিলো।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে মীমাংসা হয়েছে। যার কারণে কেউ মামলা করেনি। এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে গ্রেফতার যুবককে পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।