গাংনীতে আবারো ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান : কার্বাইট মেশানো ৮০ ক্যারট আম ধ্বংস

গাংনী প্রতিনিধি: এক দিনের ব্যবধানে মেহেরপুরের গাংনীতে কার্বাইট মেশানো আম আবারো ধ্বংস করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফ-উজ-জামান পাকুড়িয়া গ্রামে ওই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ৮০ ক্যারট (প্রায় ৬০ মণ) আম ধ্বংস করা হয়। তবে আত্মগোপন করে আমমালিক আনন্দ হালদার।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, অপরিপক্ক হিমসাগর ও ন্যাংড়া জাতের আম কার্বাইট মিশিয়ে পাকানো হয়। বাইরের জেলায় বিক্রির উদ্দেশে আম ক্যারট ভর্তি করা হয়। এগুলো প্রতিবেশী আনন্দ হালদারের প্রতিবেশী সুকুমার সরকার ওরফে সুকুর পরিত্যক্ত দোকান ঘরে রাখা হয়েছিলো। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় সুকুর দোকানঘর থেকে ৮০টি ক্যারট ভর্তি প্রায় ৬০ মণ জব্দ করা হয়। অপরিপক্ক হিমসাগর ও ন্যাংড়া আম পরিপক্ক অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিলো। এগুলো কার্বাইট ক্যালসিয়াম দিয়ে পাকানো বলে নিশ্চিত হন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে অভিযান টের পেয়ে আত্মগোপন করেছে আম মালিক আনন্দ হালদার। কার্বাইট ক্যালসিয়াম দিয়ে পাকানো আম জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি বিবেচিত হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত আমগুলো ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট করে ধ্বংস করে দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি কালবোশেখি ঝড়ে আমবাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ঝরে পড়ে আম। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ঝড়ে অপরিপক্ক আম কার্বাইট মিশিয়ে পাকিয়ে বিক্রি শুরু করে। তবে এ বিরুদ্ধ কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। কার্বাইট মেশানো আমের বিষয়ে গতরাতে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে আনন্দ হালদার বলেন, আমগুলো সব ঝড়ে পড়েছিলো। কুষ্টিয়া ও আলমডাঙ্গা আড়তে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছিলো। তবে কার্বাইট মেশানোর বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।

প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে চিৎলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে এক ট্রাক আম জব্দ করেছিলেন গাংনী সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম জামাল আহম্মেদের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আম মালিক চিৎলা গ্রামের শফিউর রহমানের ছেলে হিরন আত্মগোপন করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে আমগুলো ট্রাকের চাকায় পিষ্ট করে ধ্বংস করা হয়।