খুলনা পলিটেকনিকে ভর্তিতে দালাল চক্র : অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ

 

স্টাফ রিপোর্টার: খুলনায় ডিপ্লোমা শিক্ষার আড়ালে চলছে রমরমা শিক্ষা বাণিজ্য। কোনো ধরনের তদারকি ব্যবস্থা না থাকায় খেয়ালখুশিমতো কোর্স ফি নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় পলিটেকগুলোতে। এছাড়া দালালের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে কয়েকটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানে। অভিভাবকরা জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও ল্যাব না থাকলেও দালালের মাধ্যমে মানহীন এই প্রতিষ্ঠানগুলো ভর্তির প্রচারণা চালিয়ে থাকে। তাদের খপ্পরে পড়ে গ্রামের সহজ-সরল অভিভাবকরা প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপারে খোঁজ-খবর না নিয়েই তাদের সন্তানদের ভর্তি করে। কিন্তু ভর্তির পর প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, শিক্ষক ও ল্যাব না পেয়ে প্রকৃত কারিগরি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। খানজাহান আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ জানান, অনেক ভুক্তভোগী অভিভাবক তাদের সন্তানদের নাবসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে বিপাকে পড়েছেন। এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি, এমনকি স্কুলের শিক্ষকদের নির্দিষ্ট অর্থ দিয়ে ওইসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তিতে প্রল্ব্ধু করা হয়। তিনি জানান, শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য মানহীন পলিটেকনিকগুলো দালালদের নগদ অর্থ, টিভি, ফ্রিজ, ল্যাপটপ পর্যন্ত দিয়ে থাকে। প্রন্তু প্রশিক্ষিত শিক্ষক ও উপকরণের অভাবে  ওই সব প্রতিষ্ঠানে প্রকৃত কারিগরি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয় শিক্ষার্থীরা।

কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের আঞ্চলিক পরিদর্শক বিপ্লব বিকাশ পাল বলেন, বেসরকারি পলিটেকনিকগুলো তদারকির কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা তাদের কাছে নেই। অনেকটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে অনুমতি নিয়ে এগুলো চালু হয়। ফলে তদারকির অভাবে মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা পলিটেকনিকগুলোতে দালালের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।