কুড়–লগাছীতে সার ডিলার সোহেলের কাছে জিম্মি কৃষকরা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দর্শনার বাসিন্দা বিসিআইসির সার ডিলার সাইফুল ইসলাম সোহেলের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন কুড়–লগাছি এলাকার সার ব্যবসায়ী ও কৃষকরা। অভিযোগ উঠেছে তিনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে সার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ মতে, বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) নিয়োগকৃত  দর্শনার সার ডিলার দর্শনা পুরাতন বাজারের স্থায়ী বাসিন্দা নজরুল ইসলাম।  তার ছেলে সাইফুল ইসলাম সোহেল বাবার সাথে দর্শনার স্থায়ী বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও কুড়–লগাছীর স্থায়ী কেউ বিসিআইসির সার ডিলার না থাকায় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাইফুল ইসলামকে সাময়িকভাবে সেখানে সার বিক্রির দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু তিনি এলাকার কয়েক হাজার চাষিকে সময় মতো সার দিতে পারেন না। ফলে সেখানকার কৃষকরা তার কাছে এক রকম জিম্মি হয়ে পড়েছেন বলে কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করেন।

দামুড়হুদা উপজেলা এলাকায় একটি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নে একজন করে সার ডিলার থাকলেও অনেকেই সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা নন। এতে করে স্থানীয় কৃষকদের অনেকেই এবং ক্ষুদ্র সার ব্যবসায়ীরা নানারকম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। উল্লেখ্য, স্থানীয় সার ডিলার না থাকায় কৃষকরা সময়মতো সার পান না। এতে কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ কারণে কুড়–লগাছি ইউনিয়ন এলাকার একজন স্থায়ী বাসিন্দাকে সার ডিলার নিয়োগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন কতিপয় কৃষক। তারা জানান ইতোমধ্যে সরকারের বিধি-বিধান অনুসরণ করেই কুড়–লগাছির একজন স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে জনৈক সার ব্যবসায়ী জেলা প্রশাসকের কাছে বিসিআইসি অনুমোদিত সার ডিলারশিপের লাইসেন্স পেতে আবেদন করেছেন। উল্লেখ্য, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা-২০০৯’ এর ১.৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ইউনিয়ন/পৌরসভার নতুন ডিলার নিয়োগের ক্ষেত্রে ইউনিয়নের বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। আর ডিলারশিপের জন্য আবেদনকারীর যোগ্যতায় ৩.১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, তাকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের/উপজেলার/জেলার বাসিন্দা হতে হবে। এর প্রমাণ হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ইউনিয়ন/পৌরসভার চেয়ারম্যান কর্র্তৃক নাগরিকত্ব সনদ দাখিল করতে হবে। এছাড়া নীতিমালার ৫.২.১ উপ-অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, যদি ইউনিয়নের একজন স্থায়ী বাসিন্দা আবেদন করেন ও অন্যান্য যোগ্যতা পূরণে সফল হন তবে তিনি ডিলার হিসেবে নির্বাচিত হবেন।