কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে চরের জমি দখলের পাঁয়তারা

 

গাংনী প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ইকুড়ি-মুরাদপুর চরের জমি দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে একটি মহল। ভুয়া কাগজপত্রে জমির মালিক সেজে প্রকৃত মালিকদের দমাতে বিভিন্ন ভাবে হুমকিধামকি দেয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা এমন অভিযোগ করে প্রকৃত মালিকদের মধ্যে জমি বন্দোবস্ত দিতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ইকুড়ি-মুরাদনগর মাথাভাঙ্গা নদীর অববাহিকায় অবস্থিত। যুগ যুগ ধরে এ এলাকার বাসিন্দারা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত। ভাঙনের পর কয়েক ধরে চর পড়ে নদীর উৎস থেকে মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত ভরাট হয়ে যায়। ওই মৌজার ১৭৮, ১৭৯ এবং ইকুড়ি মৌজার ৫৩০ ও ৫৩১ দাগের জমি খাস হিসেবে গণ্য হয়। যার পরিমাণ প্রায় ৫০ বিঘা। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা পূর্বের মালিকানা হিসেবে যখন ওই জমি বন্দোবস্ত গ্রহণের উদ্যোগ নেয় ঠিক সেই সময়ে এলাকার একটি মহল জমি নিজেদের দাবি করে। ছলিমের চরের মৃত রুপচাঁদের ছেলে জিন্দার আলী ও চিলমারী গড়ের পাড়ের শের সর্দ্দারের ছেলে আতু ওরফে ভুতু ১৯ বিঘা জমি নিজের বলে দাবি করে। ভারতের নদীয়ার জলাঙ্গীর জনৈক মুরালীর নিকট থেকে কবলামূলে তারা জমি গ্রহণ করেছেন বলে অপপ্রচার চালায়। তবে মুরালীর সঠিক পরিচয় ও জমির বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছেন তারা। তারপরও গায়ের জোরে জমির প্রকৃত মালিকদেরকে জমিতে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। সর্বদা তাদের ভাড়াটে কিছু সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজনের মাধ্যমে জমির মালিকদের হুমকিধামকি দেয়া হচ্ছে। এতে অসহায় ভুক্তভোগী এসব মানুষ জমির মালিকানার কাগজপত্র তৈরির চেষ্টাও করতে পারছেন না। তাই প্রকৃত মালিকরা যাতে জমির মালিকানা পান সে বিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।