কুষ্টিয়ার গোয়ালগ্রাম গণহত্যা দিবস আজ

 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: গতকাল মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের গোয়ালগ্রাম গণহত্যা দিবস। এ দিনে রাজাকারদের সহযোগিতায় পাকহানাদার বাহিনী অতর্কিত হামলা চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধাসহ ১৭ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় দুইজন মুক্তিযোদ্ধাসহ অসংখ্য নারী-পুরুষ।

১৯৭১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাতে একদল মুক্তিযোদ্ধা উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের গোয়ালগ্রাম ফরাজী বাড়িতে অবস্থান নেন। ফরাজী বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান নিয়েছেন স্থানীয় রাজাকারদের এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাত ২টার দিকে পাকহানাদার বাহিনী ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে অতর্কিত গুলি চালায়। গুলির শব্দে ঘুমন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন। আবার কেউ পাল্টা গুলিবর্ষণ করে শহীদ হন। পাকহানাদার বাহিনীর নির্মম গুলি বর্ষণে ফরাজী বাড়িতে অবস্থান নেয়া মুক্তিযোদ্ধাসহ ওই পরিবারে ১৭ জন শহীদ হন। তাদের ওই বাড়ির পেছনে বাগানের ভেতর গণকবরে সমাহিত করা হয়। পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা গুলি করে গণহত্যা চালিয়ে ক্ষান্ত হয়নি, সেদিন ওই গ্রামে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।

সেদিনের সে নির্মম স্মৃতি আজও ভুলতে পারেননি গুলিবিদ্ধ ওই সময়ের ৮ বছর বয়সী জইতুন নেছা। তার বাম বাহুতে গুলি লেগে সেদিন শিশু জইতুন নেছা প্রাণে বাঁচলেও পরিবারের সবাইকে হারিয়ে আজও তিনি বয়ে বেড়াচ্ছেন দুঃসহ যন্ত্রণা। দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় জেলা প্রশাসন গণকবরস্থলে শহীদদের স্মরণে স্মৃতি ফলক নির্মাণ করেছে। সেখানে শহীদদের প্রতি আজ বুধবার শ্রদ্ধা জানানো হবে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌফিকুর রহমান।